বাংলায় ঝটিকা সফরে এসে কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাঁকুড়া জেলার পুয়াবাগান অঞ্চলে একটি মূর্তিকে বিরসা মুন্ডার মুর্তি বলে দাবী করে মাল্যদান করার পর থেকেই রাজনৈতিক তরজা চলছিল রাজ্যজুড়ে। শাহ-র পক্ষ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্রমন্ত্রী বিরসা মুন্ডার মূর্তি ভেবে মালা দেওয়ার পর থেকে ওটা বিরসা মুন্ডার মূর্তি বলেই বিশ্বাস করে নিতে হবে।
"সে চলে গিয়েছে, তবুও যায়নি, আসলে যায়না যেমন কেউ"
বিভিন্ন শিল্পের জন্য এবার পৃথক পৃথক সংস্থার পরিবর্তে জমি পাওয়া যাবে একটি সংস্থা থেকেই
এই নিয়ে কৌতুক, রাজনৈতিক ব্যঙ্গ চললেও এবার ঘটনায় গুরুতর মাত্রা যোগ করল আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে ওঠা প্রতিবাদে। সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে প্রায় ৫০ হাজার চিঠি পাঠানো হচ্ছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের তরফ থেকে, যার প্রধান দাবী অমিত শাহ-র প্রকাশ্যে ক্ষমাস্বীকার। এক শিকারীর মূর্তিকে বিরসা মুন্ডার মূর্তি বলে উল্লেখ করায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আত্মাভিমান ও অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে বলে এই প্রতিবাদ বলে জানা যাচ্ছে। যদিও, বিজেপির দাবী, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে মরিইয়া তৃণমূল আদিবাসীদের নাম করে বিজেপির বিরুদ্ধে এই রাজনৈতিক খেলা খেলছে।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যে বিজেপির ইমেজ-কে বাঁচাতে এখন অমিত শাহ প্রকাশ্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, না অন্য কোনো রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেন, সেটাই দেখার।