অনেক ছোট থেকেই তার কাছে অঙ্কের ক্লাস করে বাড়ির মেয়ে। কখনও মনেই হয়নি মেয়ে একটু বড় হলেই সেই গৃহশিক্ষকের কাছে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হবে। গুণধর গৃহশিক্ষকই যে এমন জঘন্যতম কাজ করতে পারে বাড়ির লোকের ধারণাতেই ছিল না। কিন্তু বাস্তবে তেমন ঘটনাই ঘটেছে। গৃহশিক্ষকের যৌন নির্যাতনের শিকার হলেন এক নবম শ্রেণির ছাত্রী।
ঘটনাটি শিলিগুড়ির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকনগর এলাকার। এই এলাকার একজন গৃহশিক্ষক বিধায়ক চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি উঠেছে। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপল্লীর বাসিন্দা ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর ঘটনা চাউর হতেই অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক তল্পিতল্পা গুটিয়ে পলাতক, সূত্র মারফত তেমনটাই খবর।
কী ঘটেছিল? সূত্রের খবর, সেই নবম শ্রেণির ছাত্রী গত মাসখানেক সেখানে পড়তে যেতে চাইতেন না। নানান অজুহাতে না পড়তে যাওয়ার ফন্দি করতেন। বাড়ির লোকজন জোর করেই তাঁকে পাঠাতেন। কিন্তু কতদিন তা সহ্য করা যায়! বাড়ির লোকজন বকাঝকা করতেই সেই ছাত্রী সব খুলে বলে দেন। শুনেই তো পরিবারের লোকজনদের চক্ষু চড়কগাছ।
এরপরেই পরিবারের লোকজন সেই অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হয়ে ওঠেন। প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন। তারপর টাকা দিয়ে রফা করার কথা বলেন। কিন্তু পরিবারের লোকজন নিউ জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর তারপর থেকেই এলাকা ছাড়া সেই গৃহশিক্ষক। পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।