২০১৭ সালে তাঁদের দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়। যদিও দু'জনের পূর্ব পরিচয় ছিল। স্ত্রী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সিংয়ের কাজ করছিলেন। এরমধ্যে সরকারি নার্সিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণা হয়েছেন। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ, কেবল চাকরিতে যোগ দেওয়াটুকু বাকি ছিল। এদিকে স্বামী বেকার, তেমন কোন কাজকর্ম করেন না। স্ত্রী সরকারি চাকরি পেলে যদি হাতছাড়া হয়ে যান, সেই আশঙ্কায় স্ত্রীর হাত কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল।
ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের। বছর পাঁচেক আগে কেতুগ্রাম এলাকার চিনিসপুর গ্রামের রেনু খাতুনের সঙ্গে শরিফুল শেখের বিয়ে হয়। সূত্রের খবর, দেখাশোনা করে বিয়ে হলেও উভয়ের মধ্যে পূর্ব পরিচয় ছিলই। বিয়ের সময় রেনুর বাবা শরিফুলকে একটি স্কুটি, নগদ এক লক্ষ টাকা-সহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রও দিয়েছিলেন। এদিকে বিয়ের আগেই রেনু নার্সিং কোর্স শেষ করেছিলেন। বিয়ের পর রেনু কেবল সংসারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। শত বাধা কাটিয়েই দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরতা ছিলেন। কিছুদিন স্বামী শরিফুলও নাকি তাঁর সঙ্গে থাকতেন।
এদিকে রাজ্য সরকারের নার্সিং পরীক্ষায় রেনু উত্তীর্ণা হয়েছেন। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ, কেবল কাজে যোগ দেওয়াটুকু বাকি। রেনুর এই চাকরি করা নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের আপত্তি ছিল বলেই অভিযোগ করেছেন রেনুর বাবা আজিজুল হক। তবে পরিণামে যে এই ঘটনা ঘটতে পারে তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।
রেনুর বাপের বাড়ির লোকজনদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, শনিবার রাতে রেনু যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন শরিফুল তার কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রেনুর উপর চড়াও হয়ে ওঠে। তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ চালায়। তাতে রেনুর ডানহাত কব্জি থেকে আলাদা হয়ে গেছে বলে সূত্রের খবর। রেনুর চিৎকারে পাড়ার লোকজন দৌড়ে এলে শরিফুল এবং তার বন্ধুরা চম্পট দেয়।
ইতিমধ্যেই রেনুর বাবা আজিজুল হক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। শরিফুল নাকি রেনুর যাবতীয় সার্টিফিকেট এবং চাকরির কাগজপত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে। রেনু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।