প্রথমে ছবিতে দেখানো হত 'মালের' স্যাম্পল, তারপর ঘরে পৌঁছে দিলেই 'ক্যাশ অন ডেলিভারি'। না, কোন খাবার কিংবা প্রসাধন নয়, বরং অনলাইনেই বোমার ব্যবসা চলছিল রমরমিয়ে। অবশেষে পাকড়াও মূল অভিযুক্ত। উদ্ধার হয়েছে ৬ টি তাজা বোমা।
ধৃতের নাম মকবুল শেখ। তিনি কাটোয়ার বাসিন্দা। পুলিশি অভিযানের দিন বাড়ির বাথরুমের ছাদ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬ টি তাজা বোমা। সেগুলো নাকি অর্ডার ছিল, তাই রোদে শুকোতে দিয়েছিলেন মকবুল। গ্রেফতারের সময় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর ফোনটিও। যেখান থেকে বোমা বিক্রির চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উদ্ধার হয়েছে।
কীভাবে এই ব্যবসা চলত? সূত্রের খবর, মকবুলের কাছে প্রথমে ফোনে অর্ডার আসত। তারপর মকবুল বোমার ছবি মোবাইলে পাঠাতেন। ক্রেতার পছন্দ হলে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যেত। আর সঙ্গে সঙ্গেই হাতে হাতে টাকা। এ যেন অনলাইন ব্যবসা। স্থানীয় প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী, কেবল ফোনকল নয়, মাঝে মাঝেই মকবুলের বাড়ির সামনে বহু অচেনা মানুষ দেখা যেত। প্রায়ই তাঁরা আসতেন।
সকলের চক্ষু এড়িয়ে কীভাবে ব্যবসা ফেঁদেছিলেন মকবুল? যেহেতু মোবাইলেই বেশি অর্ডার আসত, তাই সহজেই ব্যবসা করা যেত। সন্দেহের কোন অবকাশ ছিল না। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কাদের কাছে সেই বোমা পৌঁছাত, তার খোঁজও চলছে।