পারিবারিক অশান্তির জেরে বাবার হাতে নিজের মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। বাবার অত্যধিক মারধরের ফলেই সেই বছর ১৮-র মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ করলেন তাঁর ছোট ভাই। ধূপগুড়ির মল্লিকশোভা এলাকায় গোটা ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? ধূপগুড়ির মল্লিকশোভা এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন পাল। তাদের বাড়িতে দিনরাত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তির শেষ নেই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝগড়ার আওয়াজ প্রতিবেশীরা পাচ্ছিলেন। মনে হয়েছিল রোজকার ঘটনা। কিন্তু বিকেলে নিরঞ্জনের ছেলে ফিরে এসে দেখতে পায় রোমহর্ষক দৃশ্য। খাটের উপর পড়ে আছে দিদির রক্তাক্ত দেহ। ছোট ভাই কান্নায় ভেঙে পড়ে। চিৎকারে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির বাইরে গিয়ে সে বলতে থাকে, তার বাবাই দিদিকে মেরে ফেলেছে।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এসে দেখতে পান ঘাটের উপর পড়ে আছে ললিতার রক্তাক্ত দেহ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত নিরঞ্জন পাল পলাতক। নিরঞ্জনের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।