মদ্যপানের পর রহস্যমৃত্যু। বর্ধমানের পর এবার হাওড়া (Howrah)। ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গুরুতর আহত আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। উন্মত্ত জনতা যে দোকান থেকে মদ বিক্রি হয়েছিল, সেই দোকান ভাঙচুর করেছে। মদের দোকানের মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকার ঘুসুড়ির। বহুদিন ধরেই এই এলাকায় মদের ঠেক চালান এক ব্যক্তি। যেখানে সাধারণ মানুষ থেকে ঠিকাকর্মী, শ্রমিক সন্ধ্যে হলেই ভিড় জমান। তেমনই মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকেই লোকেদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থানীয়দের দাবি, এখান থেকেই মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মদ খাওয়ার পর একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আর হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। গুরুতর অসুস্থ আরও ২০ জনের বেশি।
ঘটনার পর এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। উত্তপ্ত জনতা সেই মদের ঠেক ভেঙে দেয়। পুলিশ এসে সেই মদের ঠেকের মালিক প্রতাপ কর্মকারকে গ্রেফতার করে। স্থানীয়দের দাবি, এই মদের ঠেকে বিষমদ খাওয়ার কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মদের দোকানটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বর্ধমানে বিষমদের কারণে আরও দু'জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। গত কয়েক দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ৮। সূত্রের খবর, বর্ধমানের খাগড়াগড়ের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা, বছর ২৬-এর মীর মেহবুব ওরফে বাপ্পা এবং ২৮ বছরের বাপন শেখ মারা গিয়েছিল। এরা দু'জনেই বর্ধমানের কলেজ মোড় এলাকার তারামা হোটেল থেকে মদ খেয়েছিল বলে পরিবারের দাবি। পরিবারের অভিযোগ, মদে বিষক্রিয়ার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছিল। এবার বর্ধমানের পর হাওড়ার ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।