টানা পাঁচদিন ধরে পানীয় জলের চরম আকাল শিল্পনগরী রানিগঞ্জের বেশ কিছু এলাকায়। যার জেরে তীব্র জলসঙ্কটে পড়েছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনারই প্রতিবাদে সোমবার পথ অবরোধ করলেন এলাকাবাসী। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে প্রতিবাদের আসরে নামল সিপিএমও। এদিন আসানসোল পৌরসভার ২ নম্বর বোরোর দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হুমকি, দ্রুত জলের সমস্যার সমাধান না হলে মঙ্গলবার অচল করে দেওয়া হবে রানিগঞ্জ।
একেই গত সপ্তাহের অতি ভারী বর্ষণে নাকাল হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গবাসী। নিম্নচাপ ক্রমশ উত্তরের দিকে সরে যাওয়ায় শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। রবিবার থেকে জমা জল সরতে শুরু করেছে আসানসোলের বিভিন্ন এলাকাতেও। এমতাবস্থায় স্থানীয়দের অভিযোগ, জমা জল নেমে গেলেও পানীয় জলের পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়। তাই জলের দাবীতে এদিন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গির্জাপাড়া, নবীনগর, হোসেননগর, দামালিয়া, মঙ্গলপুর, দামালিয়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। পাশাপাশি ট্যাঙ্কে করে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয় ‘জলশূন্য’ এলাকাগুলিতে। জল পৌঁছে দেওয়ার কাজে হাত লাগায় পুলিশও।
তবে কেবলমাত্র সাধারন এলাকাবাসীরাই নয়, পথে নেমে এদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায় রানিগঞ্জের সিপিএম নেতৃত্বকেও। প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তের নেতৃত্বে আসানসোল পৌরসভার ২ নম্বর বোরো দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বামকর্মীরা। প্রাক্তন বিধায়কের হুঁশিয়ারি, সোমবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে মঙ্গলবার থেকে রানিগঞ্জে পথ অবরোধ চলবে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আসানসোল পৌরসভার পুর-প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী দু’-এক দিনের মধ্যেই জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতর পুনরায় পানীয় জল সরবরাহ করতে পারবে। মঙ্গলবার থেকে সকলে পানীয় জল পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।