ধর্ষণের ভিডিও করে সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনা হুগলির কোন্নগরের। এমনকি সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। ইতিমধ্যেই চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মালদহ থেকে বোলপুর, হাঁসখালি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা একের পর এক ধর্ষণকান্ড ঘটে চলেছে প্রতিদিন। বাংলায় মেয়েদের সুরক্ষা এখন সোনার পাথর বাটি। প্রতিটি কেসের পর পুলিশ যেমন তদন্তে নামে এবারও তাই হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত পয়লা মার্চ ওই তরুনীকে ধর্ষণ করে স্থানীয় এক যুবক। সেই ঘটনাটি ভিডিও রেকর্ড করে রেখেছিল অভিযুক্ত। এরপর ঐ যুবক এবং তার ৩ বন্ধু মিলে মেয়েটিকে ভিডিও দেখিয়ে তা ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গনধর্ষণ করে একাধিকবার। এই কান্ডের পরে ওই ভিডিওটিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয় যুবকবৃন্দ। এরপরেই তরুনীর পরিবার অভিযোগ দায়ের করে শ্রীরামপুর মহিলা থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যুবকদের। ধৃতদের নাম পি শিবা রাও, ভি হরিশ, বি বিবেক এবং আকাশ জানা।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ বলেন, "গতকাল রাতে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একটি মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতনের। সেই অনুযায়ী তদন্ত চলছে। নির্দিষ্ট মামলা করে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভিডিওর কথা শুনেছি। তবে এখনও সেটি হাতে পাইনি।" প্রসঙ্গত, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কোন্নগর পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কে.বেবি নাকি বিষয়টি মিটমাট করে নিতে বলেন। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। ঘটনা প্রসঙ্গে কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাসের জানান, "পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। গতকাল অভিযোগ পাওয়ার পর খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এতে আমাদের কোনো হাত নেই। আইন আইনের পথে চলবে।"