মনের জোর এবং জেদ থাকলে সমস্ত বাধাকেই তুচ্ছ মনে হয়। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মহঃ আলম রহমান তার বাস্তব উদাহরণ। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে তার মাধ্যমিকের তাক লাগানো ফলাফল। মনের ইচ্ছেটুকুর উপর ভর করেই তার এগিয়ে যাওয়ার গল্প মানুষকে প্রেরণা দেয়। লড়াই করার মানসিকতা তৈরি করে।
মহঃ আলম রহমান, মুর্শিদাবাদের কান্দির গড্ডা গণপতি আদর্শ বিদ্যাপীঠের ছাত্র। বাড়ি বৈদ্যনাথপুর। ছোট থেকেই ১০০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী। সমস্ত কাজেই সে অপারগ। মায়ের সাহায্য নিয়েই তার জীবন অতিবাহিত হয়। মাকে নির্ভর করে আলমের দিন গুজরান। কিন্তু চোখে স্বপ্ন মহাকাশবিজ্ঞানী হওয়ার। বাধা অনেক কিন্তু দুনিয়াতে শত বাধা কাটিয়েই তো মানুষ আরও সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন। আর আলম তো তারই বাস্তব উদাহরণ।
এবারের মাধ্যমিকে তাক লাগানো ফলাফল আলমের। প্রাপ্ত নম্বর ৬২৫। বাংলা ৯১, ইংরেজি ৮৬, অঙ্ক ৯৮, ভৌতবিজ্ঞান ৯৪, জীবনবিজ্ঞান ৭৭, ইতিহাস ৮৪, ভূগোল ৯৫। আলম-ই হয়তো তার ব্লকেই প্রথম হয়েছে। আলমের সাফল্যে বাবা-মায়ের চোখে জল। আর মায়ের এতদিনের অপরিসীম কষ্টের ফসল আলমের ফলাফল।
আলম বড় হয়ে মহাকাশবিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন। এদিকে বাড়িতে অভাবের উপর অভাব। একাদশ শ্রেণিতে আলম বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে চায়। আরও ভালো ফলাফল করে আগামী দিনে বাবা-মায়ের কষ্টের দিন শেষ করতে চায় আলম। ডিওয়াইএফআই বড়ঞা লোকাল কমিটির তরফে আলমকে সম্বর্ধিত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন এলাকার মানুষ।