গত মাসের মাঝের দিক থেকে বাংলায় করোনা (Corona) সংক্রমনের মাত্রা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আগামীকালে ভারতের বুকে ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জোরকদমে চলছে টিকাকরন (Vaccination campaign) প্রক্রিয়া। বাংলায় টিকাকরণ ইস্যু নিয়ে বারংবার রাজনৈতিক তরজা খবরের শিরোনামে এসেছে। গেরুয়া (BJP) শিবির একাধিকবার সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ জানিয়েছে যে রাজ্য সরকার টিকাকরণের কাজ সঠিকভাবে করছে না। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে টিকা বন্টন করা হলেও তা সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না। এই সমস্ত কটাক্ষের কাজে জবাব দিল রাজ্য সরকার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে ডায়মন্ড হারবার মিউনিসিপ্যালিটির ১০০ শতাংশ বাসিন্দা ইতিমধ্যেই প্রথম টিকা পেয়ে গেছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৯০ শতাংশ বাসিন্দা। এই তথ্য যে গোটা দেশকে চমকে দিতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্বে ডায়মন্ড হারবার মিউনিসিপ্যালিটি অঞ্চলে টানা একমাস রোজ প্রতিটি কেন্দ্রে টিকাকরণের কাজ হয়েছে। রুটিনমাফিক টিকাকরনের পাশাপাশি ওয়ার্ড ধরে গণনা করে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রবীণ নাগরিকদের ভ্যাকসিন দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরুময় গায়েন বলেছেন, "কিছুদিন আগে আমাদের এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। আমরা এখানে ভ্যাকসিন অন হুইলস চালু করে দিয়েছি। টোটোয় করে আমাদের মিউনিসিপ্যালিটির অন্তর্গত প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রবীনদের ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।" গোটা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গড় ডায়মন্ড হারবার যে রোল মডেল হতে পারে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।