ধর্মীয় মৌলবাদের আগ্রাসন সমাজের জন্য কতটা বিপজ্জনক, রাজস্থানের উদয়পুর কাণ্ডে আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের। মৌলবাদী আগ্রাসনের ফলে 'ভারতে হিন্দুরাও যে সুরক্ষিত নয়', তার জলজ্যান্ত উদাহরণ উদয়পুর কাণ্ড, এমনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এক টুইট বার্তায় মৌলবাদীদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। স্পষ্ট ভাষায় নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
কী বলেছেন তসলিমা নাসরিন? আজ উদয়পুর কাণ্ড নিয়ে তিনি পরপর দু'টি টুইট করেছেন। বলেছেন, "রিয়াজ এবং গিয়াস উদয়পুরে কানহাইয়া লাল নামে একজন দর্জিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।তারপরে হত্যার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করেছে যে তারা হত্যা করেছে। তারা তাদের নবীর জন্য যেকোন কিছু করতে পারে। ধর্মান্ধরা এতই বিপজ্জনক যে ভারতে হিন্দুরাও নিরাপদ নয়।"
অন্য আর একটি টুইটে তসলিমা নাসরিন বলেছেন, "শুধু অমুসলিম নয়, এমনকি প্রগতিশীল মুসলমান এবং মুক্তচিন্তকদেরও জিহাদিরা শিরশ্ছেদ করতে পারে। ধর্মীয় উগ্রবাদ সবসময় মানবতার জন্য ক্ষতিকর।" উদয়পুরের ঘটনার পর গোটা দেশজুড়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ভারতের বুকে এমন বিপজ্জনক কার্যকলাপ দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক বলছেন একাংশ।
এদিকে উদয়পুর কাণ্ডে ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি। এই হত্যাকাণ্ডের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে উদয়পুরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২৪ ঘণ্টার জন্য রাজস্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই দুই দুষ্কৃতীকে রাজসামন্দ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইসলামকে অবমাননার কারণেই এই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে ধৃতরা দাবি করেছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ঘটনার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি শান্তি বজায় রাখতে সকলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত দুই দুষ্কৃতীর সঙ্গে পাকিস্তানের কিছু জিহাদী সংগঠনের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।