কেন্দ্রের নিয়ম না মানলে ব্যান হয়ে যাবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটার। এই খবরেই গতকাল থেকে উত্তাল গোটা দেশবাসী। কিন্তু গতকাল রাতেই ফেসবুক কেন্দ্র সরকারের নিয়ম মেনে চলার আদেশ মেনে নিয়েছে। কিন্তু ডিজিটাল মাধ্যম নিয়ে কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi Highcourt) দ্বারস্থ হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। এই সংস্থা ব্যবহারকারীদের ট্রেসিং নীতি নিয়ে সরব হয়েছে। তারা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, "মেসেজিং অ্যাপগুলিকে চ্যাট সম্বন্ধ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অর্থ প্রতিটি মেসেজকে ট্রাক রাখা। এটি এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন (end to end encryption) নীতির সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে এবং সাধারণ মানুষের গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করার সমান।"
হোয়াট্সঅ্যাপ আজ দিল্লি হাইকোর্টে একটি আর্জি জমা দিয়েছে যাতে তারা জানিয়েছে, "কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশিকা ভারতীয় সংবিধানের বিরুদ্ধে। কারণ এই নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে কেন্দ্র চাইলেই কোন তথ্যের সৃষ্টিকারী প্রথম প্রেরককে খুঁজে বার করতে হবে। এটি হোয়াটসঅ্যাপের এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন নীতির সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষার কথা বলেছিল ২০১৭ সালে। আইনি বা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রয়োজন ছাড়া গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করা যায় না।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ অর্থাত বুধবার থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া তথা ডিজিটাল মাধ্যম সংক্রান্ত নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তিন মাস আগেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারকে এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে যে তারা কেন্দ্রের নয়া নিয়মের সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও কয়েকটি নীতি নিয়ে তাদের আলোচনা করতে হবে।