২০০৬ সালের ৭ মার্চ, সংকট মোচন মন্দির, ছাওনী রেল স্টেশন ও দশাশ্বমেধ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পরপর তিনটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারানসী। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ২০ জনের। আহত ১০০ র বেশী। ঘটনার ঠিক পরেরদিন প্রয়াগরাজ জেলার ফুলপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল ওয়ালিউল্লাহ সহ আরও ৫ জন। ১৬ বছর মামলা চলার পর আজ অবশেষে রায়দান করল গাজিয়াবাদ জেলা আদালত। মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হতে চলেছে ওয়ালিউল্লাহ।
সরকার পক্ষের আইনজীবী রাজেশ শর্মার দাবি, "দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওয়ালিউল্লাহ।" চাইলে এই ফাঁসির সাজার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে যেতে পারে ওয়ালিউল্লাহ কিন্তু ওয়ালিউল্লাহের হয়ে মামলা লড়তে প্রথম থেকেই রাজি ছিলেন না কোনও আইনজীবী। আর সেইজন্যেই প্রথমদিকে মামলা দায়ের করা পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। এই মামলা প্রথমে এলাহাবাদ হাই কোর্টে বিচারাধীন ছিল। পরে তা গাজিয়াবাদ জেলা আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়।
উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে আরও ৫ জন ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে মৌলানা জাবির নামক এক অভিযুক্ত বিএসএফের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়েই তাঁর মৃত্যু হয়। বাকিদের শাস্তিও শীঘ্রই ঘোষনা করবে মহামান্য আদালত।