দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ বর্তমানে জনবিস্ফোরণের পথে এগিয়ে চলেছে। বর্তমান জনসংখ্যার গ্রাফ অনুযায়ী সে রাজ্যের আইন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে এবারে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অবশ্যই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে না হলে প্রত্যেকটি নাগরিকের কাছে ন্যূনতম পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত সমস্যাজনক হয়ে যাবে। পরিসংখ্যান বলছে, উত্তরপ্রদেশে যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেরকম ভাবে চলতে থাকলে হাসপাতালের বেড, খাদ্যশস্য, রোজগার, মাথা গোঁজার জায়গা সবকিছুতে টান পড়তে চলেছে। তাই জনসংখ্যা যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে দুর্দিন আসতে চলেছে উত্তরপ্রদেশের। তবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শুধুমাত্র কোন একটি জনগোষ্ঠী দায়ী এরকমটা বলা যাবে না। উত্তরপ্রদেশের আইন কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, যারা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারকে সাহায্য করছে তাদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে চাইছেন তিনি।
অন্যদিকে আরো একটি রিপোর্ট সামনে আসছে যেখানে জানা যাচ্ছে আগামী ৮ বছরের মধ্যে জনসংখ্যার নিরিখে চীনকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে ভারত। যে কোন রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া অত্যন্ত বড় একটি সমস্যা। উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্যে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে, এই কারণেই উত্তরপ্রদেশের এরকম অবস্থা। তাই কোন একটি ধর্মকে টার্গেট না করে বর্তমানের সকলের উচিত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য উত্তরপ্রদেশকে সাহায্য করা। কিন্তু এর পাশাপাশি রাজনৈতিক অভিসন্ধি থাকতে পারে এই জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই রাম মন্দিরের অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন তাই এই মুহূর্তে আগামী বছরের ইলেকশনের জন্য বিজেপির হাতে তেমন কোন বড় ইস্যু নেই। এখানে যদি এই জনসংখ্যা বৃদ্ধি কে কাজে লাগিয়ে, সম্পূর্ণ দোষটা কোন একটি 'নির্দিষ্ট' জনগোষ্ঠীর উপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া যায় তাহলে বিজেপির বহুকাঙ্খিত হিন্দু ভোট বিজেপির পক্ষে চলে আসতে পারে। যাতে করে আখেরে সুবিধা হবে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের।