একদিকে জারি করা হচ্ছে কৃষকদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ, আবার অন্যদিকে জোর করে অবস্থান তুলে দেবার সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। ফলে এবারে কিছুটা হলেও বেকায়দায় আছেন কৃষকরা। আবার তাদের সীমানায় আটকে রাখতে জেসিবি মেশিন দিয়ে রাস্তা করার পরিকল্পনা চলছে। ফলে মনে করা হয়েছে কৃষকদের সঙ্গে সরকারের আরও এক দফা সংঘর্ষ খুব তাড়াতাড়ি হতে চলেছে। দিল্লির বুকে প্রজাতন্ত্র দিবসে বিক্ষোভের পর এই নাটকীয় রদবদল হতে চলেছে। এবারে কৃষকদের দমন করতে নেমে পড়েছে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। ইতিমধ্যেই গাজিয়াবাদ প্রশাসন দিল্লি উত্তর প্রদেশ সীমানায় বিক্ষোভকারীদের জায়গা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বৃহস্পতিবার এর মধ্যে। তবে কৃষকরাও কিন্তু নাছোড়বান্দা।
অন্যদিকে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের জাতীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত পাল্টা হুমকি দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এবারে লুক আউট নির্দেশ জারি করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি, রাকেশ টিকায়েত ঘোষণা করে দিয়েছেন, গুলির মুখোমুখি হতে পারেন কিন্তু জায়গা তারা ছাড়বেন না। ফলে কৃষকদের সাথে সরকারের বিক্ষোভ বর্তমানে একেবারে তুঙ্গে। রাকেশ বলেছেন, "সুপ্রিম কোর্ট শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কথা বলেছেন। গাজীপুর সীমানায় কোন রকম হিংসার ঘটনা ঘটেনি। এরপরে সরকার কেন দমন-পীড়ন করতে চাইছে? এটা উত্তর প্রদেশ সরকারের আসল চেহারা। এতদিনে এই চেহারা বেরিয়ে এসেছে।" উল্লেখ্য, ২৬ জানুয়ারি কৃষক বিক্ষোভের পর থেকেই সিল করে দেওয়া হয়েছে গাজীপুর সীমানা। এছাড়াও রাকেশ বলেছেন, "প্রশাসন এমন পরিকল্পনা করলে আমি এখানেই থাকব। প্রয়োজনে গুলির মুখোমুখি হব। কৃষক আন্দোলন ভেস্তে দিতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।"