দিন পাঁচেক আগেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেছিলেন, ধর্মীয় স্থানে উপযুক্ত অনুমতি নিয়ে লাউডস্পিকার বাজানো উচিত। তা-ও আবার শব্দ যেন ধর্মীয় স্থানের বাইরে না আসে। তিনি আরও বলেছিলেন নতুন করে আর কোথাও লাউডস্পিকার বাজানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। সপ্তাহ না ঘুরতেই উত্তরপ্রদেশে নতুন ফতোয়া ধর্মীয় স্থান থেকে বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে নেওয়া হবে।
দেশজুড়ে ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার বাজানো নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। কয়েক দিন আগেই মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (MNS) প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray) বলেছিলেন, আজানের সময় মসজিদের (Mosques) উপর থেকে সরিয়ে নিতে হবে সমস্ত লাউডস্পিকার, নাহলে জোর করে শোনানো হবে হনুমান চালিশা। এ নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এরমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, রাজ্য জুড়ে ধর্মীয় স্থান থেকে বেআইনি লাউডস্পিকার সরানো হবে। আরও খবর যে, শব্দসীমার মান লঙ্ঘনকারী লাউডস্পিকারগুলি সরিয়ে নিতে হবে।
উত্তরপ্রদেশের সমস্ত পুলিশ স্টেশনগুলিতে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। বলা হয়েছে, একটি তালিকা তৈরি করে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সেরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে রিপোর্ট জমা করতে হবে। তারপর বেআইনি লাউডস্পিকারগুলি ধর্মীয় স্থান থেকে সরিয়ে ফেলার কথা বলা হয়েছে। তবে ধর্মীয় স্থানের প্রধানদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর সেগুলো সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক, আগেই রাত ১০ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত লাউডস্পিকার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। এবার যেকোন সময় বেআইনি লাউডস্পিকার ব্যবহারে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে যোগী প্রশাসন।