পাঠ্যক্রম থেকে আচমকাই বাদ মহাশ্বেতা দেবী। বাদ পড়েছেন আরও দু'জন দলিত লেখকও। কারণ এখনও স্পষ্ট না হলেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
ঘটনাটি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি পাঠ্যক্রম থেকে আচমকাই বাদ পড়েছে মহাশ্বেতা দেবীর 'দ্রৌপদী' গল্পটি। এই ছোটগল্পটি ১৯৯৯ সাল থেকে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত তা স্পষ্ট নয়। এমনকী এই গল্পের বদলে অন্য কোন রচনাও অন্তর্ভুক্ত হতে দেখা যায়নি। হঠাৎ পাঠ্যক্রমে মহাশ্বেতা দেবীর উপর কোপ কেন পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। এখানেই শেষ নয়, বাদ গেছেন দু'জন দলিত সাহিত্যিক বামা আর সুকর্তারিণীর লেখাও। বুধবার অ্যাকাডেমির কাউন্সিলের বৈঠকে এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ।
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি পাঠ্যক্রম থেকে হঠাৎই মহাশ্বেতা দেবীর 'দ্রৌপদী' ছোটগল্পটি বাদ দেওয়া হয়। সাময়িকভাবে মনে করা হয় এর বদলে অন্য কোন লেখা হয়তো স্থান পেতে চলেছে। যদিও সে বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ। একজন জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপক লেখিকার রচনা বাদ দেওয়া হল, তাও উপযুক্ত কারণ ছাড়া, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। তার পাশাপাশি দু'জন দলিত লেখক বামা আর সুকর্তারিণীর লেখাও তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। তার জায়গায় তুলনায় 'উচ্চবর্ণীয়' লেখক রামাবাইকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সমকামী নিয়ে একটি পেপার থেকেও কিছু অংশ বাদ গেছে। এখানেই শেষ নয়, এর আগে বিভিন্ন বিষয় থেকেও বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার ইংরেজি বিষয়ে কোপ পড়ল মহাশ্বেতা দেবীর উপর।