ফের গোটা দেশের বেকারত্বের বেহাল চিত্র প্রকাশ্যে। এবার মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) রাজ্য। পিওন, ড্রাইভার এবং ওয়াচম্যানের চাকরির জন্য শূন্যপদ ১৫ টি। আর প্রায় ১১ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। পরীক্ষায় বসার ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ, কিন্তু কে নেই সেই তালিকায়! স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ইঞ্জিনিয়ার, এমবিএ, এমনকী আইন পাশ প্রার্থীও আছেন। কেবল মধ্যপ্রদেশ নয়, পাশের প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ থেকেও এসেছেন অসংখ্য প্রার্থী।
সরকারি তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশে বেকারের সংখ্যা অন্তত ৩২ লক্ষ ৫৭ হাজার ১৩৬ জন। স্কুল শিক্ষা দফতরে শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার ৬০০ জন, স্বরাষ্ট্র দফতরে ৯,৩৩৮ জন, স্বাস্থ্য দফতরে ৮,৫৯২ জন, রাজস্ব দফতরে ৯,৫৩০ জন, এছাড়া রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে ১ লক্ষের বেশি শূন্যপদ রয়েছে। সেই রাজ্যের সামগ্রিক বেকারত্বের বেহাল চিত্রই প্রকাশ্যে এসেছে বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মাঝেমাঝেই গোটা দেশের সামগ্রিক বেকারত্বের বেহাল চিত্রটি উঠে আসে। পশ্চিমবঙ্গেও ডোম পদে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের আবেদন নিয়ে কম শোরগোল হয়নি। এবার মধ্যপ্রদেশ! যদিও সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান দাবি করেছিলেন, তাঁদের সরকার প্রতি বছর ১ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করবে। প্রতিশ্রুতি যে কেবল নির্বাচনী বৈতরণী পার, তা বর্তমান চিত্র থেকে স্পষ্ট বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। পাশের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা একজন চাকরিপ্রার্থীর বক্তব্য, নিজের রাজ্যে চাকরি নেই। একটা কাজ তো দরকার। তাই পাশের রাজ্যে ছুটে এসেছি।