সামগ্রিক বিশ্বের কাছে শান্তির বার্তা দিতে মহাত্মা গান্ধীকেই স্মরণ করলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরিস। গান্ধীর ১৫২ তম জন্মদিনে এভাবেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। এদিন টুইটে তিনি জানিয়েছেন, "ঘৃণা, বিভাজন এবং দ্বন্দ্ব দিন শেষ। শান্তি, বিশ্বাস এবং সহিষ্ণুতার এক নতুন যুগের সূচনা করার সময় এসেছে। এই আন্তর্জাতিক অহিংস দিবসে, গান্ধীর জন্মদিনে আসুন আমরা তাঁর শান্তির বার্তা শুনি এবং সকলের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করি।"
দেশের কাছে মহাত্মার অবদান কী? দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন নাকি কর্মমুখী উন্নত ভারত? গান্ধীজী নিজের জীবনাদর্শের সঙ্গে মিলিয়ে ছিলেন এদেশের মৌল চাহিদাগুলিকে। দীর্ঘস্থায়ী সমাধান কখনও হিংসার পথে সম্ভব নয়, বরং অহিংস পথই এই সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান হতে পারে। আজ গোটা বিশ্ব যেখানে হিংসার পথে সমাধান খুঁজতে চাইছে, তখনই ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে গান্ধীজীর চিন্তা-চেতনার কথা। বাড়ছে গান্ধী আদর্শের প্রতি আনুগত্য এবং নির্ভরশীলতা। অহিংস পথ যে মুক্তির আলোকবার্তা বয়ে আনতে পারে, তাই যেন স্পষ্ট সর্বস্তরে। মানুষ আজ ক্লান্ত সর্বগ্রাসী ক্ষুধার কাছে। সেই তপোবন কিংবা বিশ্বাসের পৃথিবী ফিরে পেতে উৎসাহী মানুষ। ভেতরে ভেতরে সে কথাই স্পষ্ট হচ্ছে সময়ের দাবিতে।
এদিন সকালে রাজঘাটে গান্ধীজীকে সম্মান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের টুইটারে তিনি বলেছেন, "জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। পূজ্যপাদ গান্ধীর জীবন ও আদর্শ দেশের পরবর্তী প্রজন্মকে কর্তব্যের পথে হাঁটতে উৎসাহিত করবে। গোটা বিশ্বের কাছে তাঁর আদর্শ আজ খুব প্রয়োজন এবং তা লক্ষ লক্ষ মানুষকে শক্তি যোগাচ্ছে।" গান্ধীর জন্মজয়ন্তী গোটা দেশেই পালিত হবে মহা ধূমধামে। কিন্তু গান্ধীর আদর্শের বার্তা বহন করবেন কতজন?
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এক টুইট বার্তায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন। সেই সঙ্গে রাজ্যকে গান্ধীর জন্মদিনে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শান্তি ও অহিংসাই গোটা বিশ্বে প্রয়োজন। গান্ধীর মহান আদর্শই সেই বার্তা বহন করছে। গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাই।