জম্মু এবং কাশ্মীর সাক্ষী থাকলো আরো একটি অপ্রীতিকর ঘটনার। সেনা অভিযানে সাফল্য পেলেও জঙ্গিরা কিন্তু বর্বরতার রাস্তা থেকে এখনো পর্যন্ত পিছু হটেনি। এবারে তার প্রমাণ আরো একবার মিলল একাদশীর দিন। এদিনকে বিহারের এক ফুচকাওয়ালা এবং উত্তর প্রদেশের একজন ছুতোর মিস্ত্রিকে গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। এই দুজনকে মিলিয়ে সর্বমোট ৯ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করল জঙ্গিরা।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, ফুচকাওয়ালা অরবিন্দ কুমার সাহুকে শ্রীনগরে একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। অন্যদিকে, উত্তর প্রদেশের ছুতোর মিস্ত্রি সাগীর আহমেদকে হত্যা করা হয় পুলওয়ামা উপত্যকায়। এই ঘটনার পরে দুটি এলাকা একেবারে সিল করে দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। কাশ্মীরে বর্তমানে জঙ্গিদের মূল টার্গেট হয়ে উঠেছে কাশ্মীরের সাধারণ নাগরিকরা।
একে একে বহু সাধারণ নাগরিকের প্রাণ গিয়েছে এই জঙ্গী হামলার জন্য। বহু নাগরিক নিজেদের ভিটেমাটি ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধীনে চাকরি করতে চলে এসেছিলেন কাশ্মীরে। এবার তারাও একে একে কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করেছেন। এই জঙ্গী হামলা নিয়ে রীতিমতো ত্রাহি ত্রাহি রব গোটা জম্মু কাশ্মীর উপত্যকায়। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমার আব্দুল্লাহ। সোশ্যাল মিডিয়াতে বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, যারা যারা এই সমস্ত নিন্দনীয় ঘটনা ঘটাচ্ছেন, আমরা তাদের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করি। বহু মানুষ নিজের রুটি রুজির টানে নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে কাশ্মীরে আসছেন। তাদেরকে হত্যা করার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। অন্যদিকে পিপলস কনফারেন্স এর নেতা সাজাদ লোন বলছেন, এই সম্পূর্ণ ঘটনাটি শুধুমাত্র খাঁটি সন্ত্রাস, আর কিছুই নয়। এই ঘটনাকে তিনি লজ্জাজনক এবং কাপুরুষোচিত বলে বর্ণনা করলেন।