গত কয়েক দিনে গোটা দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দিল্লির নয়ডার যমজ বহুতল। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই গগনচুম্বী অট্টালিকা মাত্র ৯ সেকেন্ডে চুরমার। মজুত করা হয়েছে ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক। গোটা এলাকায় জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মজুত বিশাল পুলিশ বাহিনী, দমকল, অ্যাম্বুল্যান্স। সব ঠিকঠাক থাকলে আজ বেলা আড়াইটে নাগাদ চিরতরে গুড়িয়ে যাবে নয়ডার এই 'টুইন টাওয়ার'।
কেন ভেঙে ফেলা হচ্ছে?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই এই বহুতল ভেঙে ফেলা হচ্ছে। যে সংস্থা এই বহুতল তৈরি করেছিল, তাদের গ্যাটের কড়ি খরচ করে ভাঙার কাজ করতে হবে। নজরদারি করবে নয়ডা পুর কর্তৃপক্ষ। বলা হচ্ছে, এই বহুতল বে-আইনিভাবে তৈরি হয়েছে। অনুমোদন ছিল মাত্র ১৪ তলার, কিন্তু তৈরি হয়েছে ৪০ তলা বহুতল। এই বহুতল বিপজ্জনক। পরিবেশের ক্ষতি তো বটেই। কুতুব মিনারের চেয়ে উঁচু এই বহুতল ভাঙার দৃশ্য দেখতে উৎসাহী মানুষের ভিড়। যদিও বহুদূর থেকেই ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা।
টুইন টাওয়ারের ইতিহাস
গত বছর কয়েক ধরেই আদালতে মামলা চলছিল। বারবার বলা হয়েছিল এই বহুতল বিপজ্জনক। বে-আইনিভাবে তৈরি হয়েছে। যদিও নির্মাণকারী সংস্থা তা মানতে চায়নি। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সাফ জানিয়ে দেয় এই বহুতল ভেঙে ফেলতে হবে। এখানেই শেষ নয়, নির্মাণকারী সংস্থাকেই তার ব্যয়ভার বহন করতে হবে। পাশাপাশি দু'টি বহুতল। একটি অ্যাপেক্স, অপরটি সিয়ান। একটি ১০০ মিটার, অপরটি ৯৭ মিটার।
আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ একটি বোতাম টিপলেই মাত্র ৯ সেকেন্ড সব শেষ। বিস্ফোরণের আগেভাগে বন্ধ থাকবে নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে। বন্ধ হবে পাইপলাইনে এলাকায় গ্যাস সরবরাহ। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা। দেশের মানুষ তাকিয়ে গোটা বিষয়টির দিকে।