ত্রিপুরায় (Tripura) যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের ঘিরে পরিস্থিতি আরও জটিল। গতকাল শনিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত এবং সুদীপ রাহাদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, গাড়ি আটকে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। ইঁটের আঘাতে রক্তাক্ত হন সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্ত। এমনকী দেবাংশু ভট্টাচার্যও আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। মেলেনি কোন পুলিশি সহায়তা। তার প্রতিবাদে খোয়াই থানার সামনে রাতভর শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেসের এই যুব নেতারা। সূত্রের খবর, মহামারি আইন লঙ্ঘন করে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের এই যুব নেতাদের রবিবার ভোররাতে গ্রেফতার করেছে খোয়াই থানার পুলিশ। আজ বেলা ১১ টার সময় তাঁদের আদালতে পেশ করার কথা।
অন্যদিকে ত্রিপুরার এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের পাশে থাকতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ ত্রিপুরায় যাচ্ছেন। রবিবার আক্রান্ত যুব নেতাদের ছবিসহ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "ত্রিপুরায় একদল দুষ্কৃতী তাদের পরিচয় দিয়েছে। বিপ্লব সরকারের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় গুণ্ডারাজ চলছে। আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। আপনার আক্রমণ এবং ভয় দেখানো অমানবিকতার পরিচয় দেয়। এরপরও তৃণমূল এক ইঞ্চি জমি ছাড়বে না।" কেবল এই ঝাঁঝালো টুইট নয়, আক্রান্তদের পাশে থাকতে আজ ১১ টার সময় ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এমন পরিস্থিতিতে আক্রান্ত ছাত্র-যুব নেতাদের পাশে থাকতে এবং তাদের মনোবল বাড়াতে তড়িঘড়ি ত্রিপুরা সফরে ছুটেছেন 'টিম অভিষেক'-এর সদস্যরা। সকালের বিমানেই দমদম থেকে আগরতলা পৌঁছেছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং শ্রমিক নেত্রী দোলা সেনরা। পৌঁছেই ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় তোপ দাগেন তাঁরা। ব্রাত্য বসুর কথায়, ''এসব ঘটনাই প্রমাণ করছে যে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার ভয় পেয়েছে। আমরা গণ আন্দোলনের শরিক। আমাদের এভাবে গ্রেফতার করে, হামলা চালিয়ে, আটকে রেখে মোটেই দমন করা যাবে না।'' ত্রিপুরার বর্তমান পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওয়াকিবহাল মহল।