রাজ্য ছেড়ে ক্রমেই সর্বভারতীয় আঙিনায় নিজের কব্জা জমাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ব্যাবধানে বাংলা জয়ের পরেই তৃণমূল নিশানা করেছিল আরও এক বাংলাভাষী রাজ্য ত্রিপুরাকে। বিগত কয়েকমাসে তৃণমূল কংগ্রেসের সৌজন্যে সে রাজ্যের রাজনৈতিক পটচিত্রে এসেছে আমুল পরিবর্তন। শুধু সিপিএম, কংগ্রেসই নয়, খোদ বিপ্লব দেব ঘনিষ্ঠ কিছু বিজেপি নেতাও নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলের খাতায়। এবার বাংলা, ত্রিপুরা ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস সোজা গিয়ে উঠল আরব সাগরের পাড়ে, দক্ষিণ-পশ্চিমের রাজ্য গোয়াতে। বুধবার পানাজির বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা ছেয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার আর তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকায়।
উল্লেখ্য, গতকালই গোয়ার রাজনৈতিক মানচিত্রে থাবা বসিয়েছে তৃণমূল। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সেখানে অস্তিত্ব না থাকা বাংলাভাষী একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল হঠাৎ করেই সেখানেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে। নিজের দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গোয়া কংগ্রেসের দাপুটে নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুজিনহো ফালেরিও। আর এই ঘটনার জেরেই সে রাজ্যে একঝটকায় তৃণমূল-কংগ্রেসের হাত এখন অনেকটাই শক্ত। ফালেরিওর তৃণমূলে যোগদান করার দিনেই সে রাজ্যের রাজধানী পানাজিতে গোয়া বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ভরিয়ে দিলেন দলীয় পতাকা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিসহ পোস্টারে।
২০২২ সালে গোয়াতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সে রাজ্যে তৃণমূলের উল্কাসম এই উত্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। অপরদিকে কংগ্রেসের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেমন দল ভাঙানোর খেলায় নেমেছিল বিজেপি, গোয়ায় তারই পুনরাবৃত্তি করছে তৃণমূল। তবে সে কটাক্ষে আমল না দিয়ে আপাতত সাম্রাজ্য বিস্তারেই ব্যস্ত তৃণমূল কংগ্রেস।