তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর এই প্রথম আজ মোদী মমতার সাক্ষাৎ। সোমবার রাতেই তৃণমূল সূত্রে এমন কথা জানানো হয়েছে। আজ বিকেল ৪ টে নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হবেন তৃণমূল নেত্রী (Mamata Bandyopadhyay)। এদিন প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি কংগ্রেসের তিন হেভিওয়েট নেতা আনন্দ শর্মা, কমল নাথ এবং অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে মঙ্গলবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
ইতিমধ্যেই ২০২৪-এ বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী ২১ জুলাই শহিদ দিবসেও তিনি দেশীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছেন। এখন দেখার বিষয় আজকের বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোন কোন বিষয় উত্থাপন করেন। তবে সূত্রের খবর, বর্তমানে পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি দিল্লি যাওয়ার আগে রাজ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। যা দিয়ে দিল্লির কাছে একটি বিশেষ বার্তা দিলেন বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। ফলত আজকের বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর সওয়াল করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি রাজ্যের বকেয়া আদায়, টিকা যোগানে অপ্রতুলতা, পশ্চিমবঙ্গের উপর থেকে ঋণের বোঝা কমানো প্রভৃতি বিষয় আলোচনায় উঠে আসতে পারে। এরসঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে দিল্লি সীমান্তে জারি থাকা কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গও আলোচনায় আসতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আজ কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে দুপুর ২ টোয় মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এবং ৩ টেয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মার মমতা বৈঠক করবেন বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে। ২১ জুলাইয়ে তিনি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী শিবিরে তিনি এই নেতৃত্বদের পাশে পেয়েছেন। পাশাপাশি কংগ্রেসের আর এক নেতা অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে সাক্ষাতের খবর রয়েছে। ইনি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মামলার সঙ্গে যুক্ত আছেন। স্বাভাবিকভাবেই উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
অন্যদিকে বুধবার বিকেলে চায়ের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। শুধু সনিয়া গান্ধী নয় এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই তিন দিনের দিল্লি সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।