সপ্তাহ পেরোতেই ফের কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলি। এবারো ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরাক্রমী আক্রমণে খতম হল তিন জঙ্গি যার মধ্যে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ঈ-তৈবার দুই সদস্য। চলতি মাসেই কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় সেনা, আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশের যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার সাজ্জাদ আফগানি। প্রধানত, তরুণ যুবকদের মগজধোলাই করে তাদের জঙ্গি সংগঠনে নিয়ে এসে কাজ করাত ওই জঙ্গি। শোপিয়ান জেলায় জইশের ওই প্রধানের মৃত্যুতে সংগঠনটি বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু এদিনের ঘটনায় ফের একবার সজাগ হলেন ভারত সেনাকর্তারা।
ঠিক কি হয়েছিল এদিন? কাশ্মীর পুলিশের শীর্ষকর্তা আইজি বিজয় কুমারের মতানুযায়ী,গত রাতে শোপিয়ানের মানিহালে জঙ্গিদের উপস্থিতি টের পেয়ে গোপনে আক্রমণ চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। বেশ কিছুক্ষণ চলে দু-পক্ষের গুলির লড়াই। এই সংঘাত এখনো নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে। এখানে তিন জঙ্গি খতম করার পরেও দুই জঙ্গি আটকে রয়েছে বলে মনে করছে সেনাবাহিনী। গত ১০ ই মার্চ ভারত সেনার হাতে খতম হয় 'আল-বদর' গোষ্ঠীর প্রধান গানি খোয়াজা। জইশ ও লস্করের দুষ্কৃতীদের সাথেও এই গোষ্ঠীর যোগ আছে বলে মনে করা হয়। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে একটি র্যালির আয়োজন করেছিল আল বদর জঙ্গি সংগঠন। কাশ্মীরের এই অংশে এই আল-বদরের প্রতিপত্তি আগামীদিনে সম্ভাবনাময় হলেও তাদের প্রধানের মৃত্যুতে তার আশঙ্কা অনেকটাই নির্মূল হয়েছে।