এবার কেন্দ্রের মোদী সরকারের কোপে সিনেমাটোগ্রাফ আইন (Cinematography Act)। সূত্রের খবর, কেন্দ্র সরকার সিনেমাটোগ্রাফ আইনে সংশোধন করতে চলেছেন। ফলে বাক্ স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ হতে চলেছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সরব হয়েছেন একটি বড় অংশের সচেতন মানুষ।সূত্রের খবর, কেন্দ্র সরকার নয়া সিনেমাটোগ্রাফ বিল ২০২১-এর খসড়া তৈরি করেছেন। এরপর সাধারণ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে এই বিল আইনে পরিণত হয় কীনা তা এখন দেখার বিষয়।
কী রয়েছে এই নতুন বিলে? নতুন বিলে পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছে কোন সিনেমা সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর কেন্দ্র চাইলে তার প্রদর্শন বন্ধ করে দিতে পারে। আর তারপর ফের সেন্সর বোর্ডের কাছে পাঠাতে পারে। সুতরাং এই নয়া বিল অনুযায়ী সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্তের উপর কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপ করার অধিকার থাকতে পারে। এই নয়া বিল দেখে পরিচালক, প্রযোজক থেকে অভিনেতাদের চক্ষু চড়কগাছ। অনেকে বাক্ স্বাধীনতার উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে চলেছে মোদী সরকার এমন অভিযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সেন্সর বোর্ড সিনেমার ক্ষেত্রে তিন ধরণের শংসাপত্র দিয়ে থাকে। 'ইউ'-সকলের দেখার মতো ছবি, 'ইউ/এ'- ১২ বছরের কমবয়সী শিশুদের অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে দেখার মতো ছবি এবং 'এ'-প্রাপ্তবয়স্কদের ছবি। নতুন সংশোধনী বিলে সিনেমার আরও শ্রেণি বিভাজন চাইছে সরকার। সেখানে খসড়া বিলে এমন বিভাজন রাখা হয়েছে 'ইউ/এ ৭+', 'ইউ/এ ১৩+', 'ইউ/এ ১৬+'। তার পাশাপাশি সিনেমার বেশ কিছু স্বাধীনতায় সরাসরি সরকারের হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।
এ নিয়ে দেশের প্রথম সারির পরিচালক, প্রযোজক থেকে শুরু করে অভিনেতা অভিনেত্রীরা প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। খসড়া বিল দেখে আদুর গোপালাকৃষ্ণণ, শাবানা আজমি, কমল হাসান, ফারহান আখতার, নন্দিতা দাসের মতো চলচ্চিত্র জগতের ব্যক্তিত্বরা তীব্র আপত্তি তুলেছেন। তাঁরা কেন্দ্রের কাছে চিঠি দিয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা অভিযোগ উঠেছে। এবার নয়া সিনেমাটোগ্রাফ বিল নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।