তাহলে এবার কি অলিম্পিক্সের (Olympics) ইভেন্টে ক্রিকেট (Cricket) আসতে চলেছে? ২০২৮ অলিম্পিক্সে ক্রিকেট আসার সম্ভাবনা আরও জোরাল হল বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করছে ভারত। এর আগে অলিম্পিক্সে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির বিশেষ পক্ষপাতি ছিল না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিসিসিআই-এর মনোভাবের বদল ঘটেছে বলে সূত্রের খবর। মনেকরা হচ্ছে, অলিম্পিক্সে ক্রিকেট এলে ভারতে পুরুষ ও মহিলা বিভাগ অংশ নিতে পারবে। পাশাপাশি পদক আসার সম্ভাবনাও জোরাল। তাই অলিম্পিক্সে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, আইসিসি আগেই অলিম্পিক্সে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির পক্ষে ছিল। কিন্তু ভারতের গড়িমসিতে নাকি তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে এবার নাকি বিসিসিআইর সম্মতি মিলেছে। আর ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির কাছে নাকি ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রস্তাবও রেখেছে আইসিসি। সেখানে যে বিসিসিআই-এর পূর্ণ সম্মতি রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার বিষয় সাত বছর পর সত্যিই যদি অলিম্পিক্সে ক্রিকেট আসে, তাহলে ভারতে পদক জয়ের সম্ভাবনা কতটা বাড়ে।
এদিকে ২০২৮-এ অলিম্পিক্সে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হলে ততদিনে ভারতের বর্তমান ক্রিকেট দলের সদস্যদের একটা বড় অংশের না থাকার সম্ভাবনা দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের বক্তব্য, ততদিনে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ানের মতো প্রথম সারির ক্রিকেটারদের বয়স চল্লিশের কোঠায় পৌঁছে যাবে। তাই এই দলের অলিম্পিক্সে প্রতিযোগিতা করার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বরং তরুণ প্রজন্মের ঋষভ পন্থ, পৃথ্বী শ, শুভমন গিল, মহম্মদ সিরাজের মতো তরুণদেরই অংশ নিতে হবে। যদিও তা এখনও বিবেচনাধীন বিষয়।
তবে অলিম্পিক্সে কোন ফরম্যাটে ক্রিকেট আসবে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনেকেই আইপিএলের ধাঁচে টি২০ ফরম্যাটের প্রত্যাশী। আবার অনেকেই টি১০ কিংবা ইংল্যান্ডের ১০০ বল খেলার ধাঁচের কথা বলেছেন। সবটাই আলোচনার প্রাথমিক স্তরে বলছেন বিশ্লেষক একাংশ। তবে ২০২২-এর কমনওয়েলথ গেমস এবং এশিয়ান গেমস-এ ক্রিকেট থাকছে। তবে কমনওয়েলথ গেমস-এ কেবল মহিলারাই খেলবেন। সব মিলিয়ে অলিম্পিক্সে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তিকরণের যুক্তি পাল্টা যুক্তি যতই থাকুক, তা যে এবার সত্যি হতে চলেছে, মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।