আগামী ২৯ নভেম্বর সংসদে (Parliament) শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session) শুরু হচ্ছে। এই শীতকালীন অধিবেশনে মোদী সরকার কোন বিলগুলি সংসদে পাশ করাতে চায়, তার তালিকা এর মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। তাতে মোট ২৬ টি বিলের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে তিন কৃষি বিল প্রত্যাহারের পাশাপাশি ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের দরজাটিও খুলতে পারে। হতে পারে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল। সব মিলিয়ে সংসদে এবারের শীতকালীন অধিবেশন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি আজকেই শিলমোহর পড়তে পারে। গোটা বিষয়টি নিয়ে সরকারের উপর তৈরি হওয়া প্রবল চাপের ইতি টানতে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বিল প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কৃষকদের আন্দোলন এখনও পুরোপুরি থামেনি। কৃষক সংগঠনগুলি দাবি তুলেছেন, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপির নিশ্চয়তা চেয়ে আইন করতে হবে। যদিও সরকারের পক্ষে এই বিষয়টি মেনে নেওয়া কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন চিহ্ন উঠেছে। এই আইন পাশ হলে ফাঁপরে পড়তে পারে সরকার। কারণ এমএসপির চেয়ে বাজারে দাম পড়ে গেলে সরকারকে কৃষকদের কাছ থেকে সব ফসল কিনতে হবে। তাতে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির সরকার প্রবল চাপের মুখে পড়তে পারে। ভর্তুকি দিতে গিয়ে সরকার দেউলিয়া হয়ে যেতেও পারে।
এবারের সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ বিল। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। চলতি বছরেই আরও দু'টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের পথে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। এমনকী ১৯৪৯ সালের ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ আইন এবং ১৯৭০ ও ১৯৮০ সালের ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের আইন সংশোধনের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। এভাবে ধীরে ধীরে সমস্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিদের হাতে তুলে দিতে চাইছে মোদী সরকার এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিরোধীদের একাংশ। এর মধ্যেই গোটা দেশের ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠনগুলি 'ব্যাঙ্ক বাঁচাও' কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাত্রা শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে সংসদের এবারের শীতকালীন অধিবেশন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।