চার দিনের দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee, CM)। পাখির চোখ মূলত অবিজেপি জোট গড়া। কাজেই চারদিনের সফরে নেই এক মুহূর্ত বিশ্রাম। একেবারে ঠাসা কর্মসূচিতেই পরিপূর্ণ সফর। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলাম। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা হয়নি। দু'বছর পর দিল্লিতে এলাম। সৌজন্য সাক্ষাৎ এটা। নির্বাচনের পর প্রোটোকল মেনে দেখা করেছি। সেইসঙ্গে করোনার বিষয়ে আলোচনা করেছি। বাড়তি করোনা টিকা, ওষুধ চেয়েছিল। জনসংখ্যার তুলনায় কম পেয়েছি আমরা। সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের আগে সবাইকে টিকা দিতে চাই।" তবে আজ ফের দিল্লিতে একগুচ্ছ কর্মসূচি মমতার। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই আজ দুপুরে রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের বাড়িতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ। সাংসদদের নিয়ে কৌশল বৈঠক করেন দলনেত্রী। খবর, সংসদের বাদল অধিবেশনে ঠিক কীভাবে মোদি সরকারকে কোণঠাসা করা হবে, কী কী ইস্যুতে সরব হতে হবে, দলের সাংসদদের সেই রণকৌশল ঠিক করে দেওয়ার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে আলোচনায় নাকি তেমন বিশেষ বার্তা দেননি মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন সৌগত রায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "গোটা ভারত মোদির বিরুদ্ধে লড়বে। কে নেতৃত্ব দেবে এখনই বলা যাবে না।" ইতিমধ্যেই সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খবর, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন রাহুল গান্ধীও। কীভাবে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি বিরোধী লড়াই হবে, তার রূপরেখা তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে, মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।