কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জের, ক্রমশ মৃত্যুর গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হতেই সৎকারের অভাব দেখা দিতে শুরু করে। এরপরেই উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে মৃতদেহ। আশঙ্কা করা হয়েছিল, করোনাক্রান্ত হয়ে মৃতদের অনেকের দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই শুরু হয় জোর তরজা। পাশাপাশি প্রশ্ন ওঠে, গঙ্গায় ভাসা মৃতদেহ থেকে কী জলেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে? এই ঘটনায় এবার গঙ্গার জলে ভাইরাস ছড়িয়েছে কি না সেটাই খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের তরফে বহাল করা হল এক কমিটিকে।
যদিও ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গাও (এনএমসিজি) এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তাঁদের মত, ‘‘সাধারণত এই পরিবেশে ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে না। কিন্তু তার পরেও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই গবেষণার। কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছি না আমরা।’’
লখনৌয়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টক্সিকোলজি রিসার্চের ডিরেক্টর সরোজ বাতিক এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি পর্যায়ে এই গবেষণা চলবে। প্রথম পর্যায়ে কনৌজ ও পাটনার ১৩টি জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। যদিও, তিনি সংবাদসংস্থাকে এ বিষয়ে খোলসা করে জানিয়েছেন, জলের নমুনা থেকে ভাইরাসের আরএনএ আলাদা করে তারপর আরটি-পিসিআর টেস্ট করে দেখা হবে সেখানে করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা। এই গবেষণার ফলে গঙ্গার জলে দূষণের মাত্রাও অনেকটা বোঝা যাবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।