ভারত অমুসলিম সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করল। মূলত মুসলিম দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের এই আওতায় আনা হয়েছে বলে খবর। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) শুক্রবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মূলত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের নাগরিকত্ব (Citizenship) প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মোদী সরকার।
সূত্রে খবর, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় তাঁদের এদেশের নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আগত কেবল হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন এবং খ্রিস্টানদের এই সুযোগ দেওয়া হবে। শুক্রবার এই মর্মে গুজরাট, ছত্তিসগড়, রাজস্থান, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবসহ ১৩ টি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বসবাসকারী অমুসলিমদের এই নাগরিকত্ব আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA এখনও পর্যন্ত দেশে বলবৎ করা সম্ভব হয়নি। গত কয়েক মাসে বারবার পিছিয়ে গেছে সেই প্রক্রিয়া। সংশোধনী আইন নিয়ে নানা বিতর্কের পরও মোদী সরকার বারবার বলে এসেছেন মুসলিম শাসিত দেশগুলিতে অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর ক্রমাগত নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি দিতে এই বিশেষ আইন। যদিও বিভিন্ন তরফে এ বিষয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এসেছে। কেন্দ্রের এই আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন একাংশ। পশ্চিমবঙ্গে একুশের নির্বাচনে নাগরিকত্ব আইন ছিল অন্যতম ইস্যু। তারপরও ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। মমতা সরকার বারবার এই আইনের বিরোধিতা করেছে। এমন অবস্থায় কেন্দ্রের এই নতুন নির্দেশ বাড়তি চাপ তৈরি করল বলছে ওয়াকিবহাল মহল।