সংক্রমনের রাশ কোনো মতেই কমানো সম্ভব হচ্ছে না। গত কয়েকদিন পরপর নতুন আক্রান্তের সংখ্যা সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ৪ লক্ষের গণ্ডি তো অতিক্রম করেইছে এবং তা আরও ক্রমবর্ধমান। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন। একদিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪ হাজারের দোরগোড়ায়। একদিনে করোনায় বলি ৩ হাজার ৯১৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৫০৭ জন। এই মুহূর্তে সারা দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ১৬৪ জন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে কেন্দ্রের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে আংশিক বা পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। চলছে নাইট কারফিউ। তারপরও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এই মুহূর্তে করোনা রুখতে টিকাকরণকে বাড়তি জোর দিয়েছে সব মহল। অথচ দেশের ৩ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়নি। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কার্যত স্বীকার করে নিলেন যে প্রতিষেধকের অভাবে টিকাকরণ হচ্ছে না। তবে আর এক কারণ হিসেবে বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনেও দায়ী করা হয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন লকডাউন থাকলেও টিকাকরণ থামালে চলবে না।
বৃহস্পতিবার কোভিড মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কিভাবে টিকার উৎপাদন বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নির্মলা সীতারামন, হর্ষবর্ধন প্রমুখ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এখনও পর্যন্ত সারাদেশে ৩.১৪ কোটি মানুষকে করোনার দু ডোজ প্রতিষেধক দেওয়া সম্ভব হয়েছে যা দেশের জনসংখ্যা মাত্র ৩ শতাংশ।