একদিকে করোনা (Covid-19) আর একদিকে প্রবল বর্ষণ (Rainfall) ও ভূমিধসের (Landslides) জোড়া ফলায় বিদ্ধ মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি দ্রুত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর উঠে আসছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৯৯ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ, গুরুতর আহত কমপক্ষে ৫৫ জন। অতিবৃষ্টি এবং ভূমিধসের জেরে উপকূলবর্তী এলাকার পরিস্থিতি অতি আশঙ্কাজনক। সর্বত্র জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।
পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রায়গড় জেলা। এখান থেকেই সবচেয়ে বেশি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সরেজমিনে ঘুরে দেখেছেন। মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে কাজে লাগানো হয়েছে। মুম্বই, কোলাপুর, রত্নগিরি, পালঘর প্রভৃতি এলাকায় নামানো হয়েছে এনডিআরএফের স্পেশাল টিম।
মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি গোয়া এবং কর্নাটকের বন্যা পরিস্থিতি অতি উদ্বেগজনক। অতি বৃষ্টির জেরে ভেসে গিয়েছে বহু বাড়ি। গোয়ার মান্ডবী, খান্দেপার, দুধসাগর, বলবন্তীর মতো বহু জায়গায় জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। কর্নাটকেও চলছে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি। বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা। উপকূলবর্তী অঞ্চলে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
এর মধ্যেই ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বাংলার শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু। মুম্বইয়ে একটি নির্মীয়মাণ বিল্ডিং-এ কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ শ্রমিকের, গুরুতর আহত আরও ৪ জন। মৃত সকলেই মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকার বাসিন্দা। পেটের টানে কাজে গিয়ে এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া। মুম্বইয়ের লোয়ার প্যারেল এলাকায় প্রবল বর্ষণের মধ্যেই একটি নির্মীয়মাণ বিল্ডিং-এ কাজ করছিলেন তাঁরা। প্রবল বর্ষণে হঠাৎই ধসে যায় এই বিল্ডিং। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৫ জনের। তার মধ্যে ৩ জন এ রাজ্যের বাসিন্দা। প্রবল বর্ষণের মধ্যে কীভাবে নিরাপত্তা ছাড়া কাজ চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ।