দু-জন মানুষ একসাথে থাকলেই সেই সম্পর্কেকে লিভ-ইন (Live-In Relationship) বলা যাবে? না, তা কখনোই নয়। এমনটাই মন্তব্য করেছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাই কোর্ট (High Court)। এক যুগল পরিবারের সদস্যদের থেকে আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে আদালতের দারস্থ হন। যুগলের (Couple) দাবি তারা লিভ ইন করতেন। এই মামলার প্রসঙ্গেই পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাই কোর্ট (High Court) মন্তব্য করে যে, একসাথে থাকা মানেই সেই সম্পর্ককে লিভ-ইন বলা যায় না।
হরিয়ানার যমুনানগরের বাসিন্দা যুগল একসাথে থাকতেন। কিন্তু তরুণীর পরিবারের তরফে আপত্তি ছিল তাদের একসাথে থাকা এবং তাদের সম্পর্ক নিয়ে। ফলে পরিবারের সদস্যদের থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে আদালতে অভিযোগ করেন ওই যুগল। ওই যুগলের দাবি তারা লিভ-ইন করেন। তাই আদালতে নিজেদের সুরক্ষার দাবি জানায় ওই যুগল। ওই যুগলের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তরুণের বয়স ২০ বছর এবং তরুণীর বয়স ১৮ বছর। তরুণ, তরুণী উভয়েই একে অপরকে বিয়ে করবেন। কিন্তু তারা কিছুটা সময় চান। তাই আপাতত তারা লিভ-ইন করছেন।
ওই যুগল তো পরে বিয়ে করতে পারতো। কিন্তু তার আগেই তারা একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনা কেন নিলেন? এই প্রসঙ্গে তাঁদের আইনজীবী জানিয়েছেন মেয়েটির পরিবার তাদের সম্পর্কেকে মান্যতা দেয়নি। ফলে ওই তরুণী পালিয়ে গিয়ে তরুণের সঙ্গে একসাথে থাকার পরিকল্পনা করেন। এরপরই তরুণীর বাড়ির লোকের তরফে ওই তরুণকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হয়। ফলে ওই যুগল আদালতের দারস্থ হয়।
ওই যুগল একসাথে থাকলেও হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় যে এই সম্পর্ককে লিভ-ইন বলা যায় না। ওই যুগলের আইনজীবীর তরফে পাল্টা প্রশ্ন করা হয় তাহলে কোন সম্পর্ককে লিভ-ইন বলা যাবে? এই প্রসঙ্গে আদালত জানায়, শুধু একসাথে থাকলেই সেই সম্পর্ক লিভ-ইন নয়। বরং একসঙ্গে থাকার পাশাপাশি যদি দু'জন পারস্পরিক দায়িত্বপালন করে যৌথ জীবন যাপন করেন, তবেই সেই সম্পর্ক বিয়ের মতো আরেকটি প্রতিষ্ঠান লিভ-ইন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই শর্তাগুলো এক্ষেত্রে পালিত না হওয়ায় ওই যুগলের সম্পর্ককে লিভ-ইন হিসেবে মান্যতা দেয়নি হাইকোর্ট। উপরন্তু ওই যুগলের ওপর ২৫ হাজার টাকার জরিমানা করেছে হাইকোর্ট।