অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) মাদ্রাসা শিক্ষার বদলে ফের সাধারণ স্কুল শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করলেন। এখানেই শেষ তিনি মনে করেন, অবিলম্বে 'মাদ্রাসা' শব্দটি বিলুপ্ত হওয়া উচিত। যতদিন শিক্ষার সঙ্গে এই শব্দটি যুক্ত থাকবে, ততদিন পড়ুয়ারা ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না।
রবিবার একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলের এক অনুষ্ঠানে ফের মাদ্রাসার বদলে সাধারণ স্কুল শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি। তাঁর পরামর্শ, "শিশুদের কোরান শেখান, তবে বাড়িতে।" শিশুদের মাদ্রাসায় ভর্তি করানো তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। এদিন তিনি বলেন, "এই (মাদ্রাসা) শব্দটি যতদিন থাকবে, ততদিন শিশুরা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কথা ভাবতে পারবে না। আপনি যদি বাচ্চাদের বলেন যে মাদ্রাসায় পড়লে তারা ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না, তারা নিজেরাই সেখানেই যেতে অস্বীকার করবে।"
অসমের মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কীভাবে মুসলিম পড়ুয়াদের সংখ্যা বাড়াবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "বিজ্ঞান, গণিত, জীববিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যার উপর বেশি জোর দেওয়া উচিত। বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। বাড়িতে ধর্মীয় গ্রন্থ পড়ানো যায়। কিন্তু স্কুলগুলিতে, তাদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক এবং বিজ্ঞানী হওয়ার জন্য পড়াশোনা করা উচিত।" এক প্রাক্তন চান্সেলর প্রশ্ন করেন, মুসলিম পড়ুয়ারা অত্যন্ত মেধাবী হয়। কোরানের প্রতিটি কথা তাদের কন্ঠস্থ থাকে। এর জবাবে শ্রীশর্মা বলেন, "কেউ (ভারতে) মুসলমান হয়ে জন্মায়নি। ভারতে সবাই হিন্দু ছিল। তাই, কোনো মুসলিম শিশু যদি অত্যন্ত মেধাবী হয়, আমি তার হিন্দু অতীতকে আংশিক কৃতিত্ব দেব।"
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে অসমের সমস্ত সরকারি মাদ্রাসা তুলে দিয়ে সেগুলিকে স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। সরকারের দাবি, এতে 'ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থা' গড়ে তোলার পথ সহজতর হবে। যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে গোয়াহাটি হাই কোর্টে ১৩টি আবেদন জমা পড়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অসম সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।