দিন কয়েক আগেই 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' (The Kashmir Files) সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, "বাংলাদেশ থেকে বাঙালি হিন্দুদের উৎখাত নিয়ে কেন ছবি তৈরি হয় না", এবার নিজের 'লজ্জা' উপন্যাসটি নিয়ে কেন এতদিনে চলচ্চিত্র তৈরি হল না, সেই বিতর্ক উসকে দিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। এদিন এক টুইটে লেখিকার খেদোক্তি, "গত ২৯ বছর ধরে বেস্ট সেলারের তালিকায় লজ্জা। তবুও এই বইটি নিয়ে কেউ সিনেমা তৈরি করার দুঃসাহস দেখাল না।"
১৯৯৩ সালে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রকাশের প্রথম ছয় মাসে অন্তত পঞ্চাশ হাজার কপি বিক্রি হয়। ইংরেজি ছাড়াও জার্মান, ফরাসি, ইতালীয়, অসমিয়া, হিন্দি, ওড়িয়া, মালয়ালম, তেলেগু, তামিল-সহ অসংখ্য ভাষায় বইটি অনূদিত হয়েছে। বইটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী মৌলবাদীদের খপ্পরে পড়েন তিনি। তাঁর বইটি নিষিদ্ধ হয়। আজও তিনি দেশছাড়া।
১৯৯২ সাল, ভারতের ইতিহাসের একটি অন্যতম কালো দিন। এই দিনেই উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) ধ্বংসের ঘটনা ঘটে। গোটা বিশ্বেই অচিরেই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও এই খবরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই লেখিকা তসলিমা নাসরিন তাঁর 'লজ্জা' উপন্যাসটি নির্মাণ করেছিলেন। বিষয়বস্তু এমনই, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কারণে ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর কী প্রভাব তৈরি করেছিল।
লেখিকা তসলিমা নাসরিন বরাবরই সাহসী। যেকোন বিষয়ে তাঁর সাহসী মন্তব্য নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়োয়। দিন কয়েক আগেই 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' নিয়ে তিনি দীর্ঘ মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, "আজ দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবিটি দেখলাম। যদি ছবিটির গল্প ১০০ শতাংশ সত্য হয়, যদি অতিরঞ্জিত করা না হয়ে থাকে কিংবা ছবির গল্প অর্ধসত্য না হয়, তাহলে বিষয়টি সত্যিই বেদনার। কাশ্মীরি পন্ডিতদের কাশ্মীরে থাকার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।" ফের নিজের 'বিতর্কিত' লজ্জা উপন্যাসটি নিয়ে মন্তব্য, নতুন করে বিতর্ক তৈরি করল বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।