স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষা বা NEET-PG ২০২২ স্থগিত করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের তরফে বলা হয়েছে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট ফর পোস্ট গ্রাজুয়েট পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া কিংবা পিছিয়ে দেওয়া হলে তা প্রায় ২ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর ওপরে প্রভাব পড়বে, যাঁরা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, "পরীক্ষা নেওয়ার বিরুদ্ধে যে আবেদনগুলি দাখিল করা হয়েছে, তা বিবেচনা করে উল্লেখ করা যেতে পারে যে শিক্ষাবর্ষ ইতিমধ্যেই চার মাসের বেশি পিছিয়ে গিয়েছে।"
নিট ২০২২-২০২৩ এর যে সময়সূচি ছিল তা করোনা মহামারীর কারণে সংশোধন করা হয়েছে। আবেদনকারী এবং স্থান পাওয়া চিকিৎসকরা নিট-পিজি ২০২১-এর কাউন্সেলিং-এ অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদেরকে নিট-পিজি ২০২২-এ নাম নথিভুক্ত করতে বাধা দেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, নিট পিজি ২০২২-এর নথিভুক্তিকরণ শেষ হয়েছে ২৫ মার্চ। প্রায় ২ লক্ষ ৬ হাজার চিকিৎসক এই পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। আদালত আরও বলেছেন যে এটা সবসময় মনে রাখতে হবে, এখানে বহুসংখ্যক ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। সেখানে রোগীদের যত্নের বিষয়টি উপেক্ষার করার মতো নয়। পরীক্ষা স্থগিত করে দিলে বিশৃঙ্খলতা এবং অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।
বর্ষীয়ান আইনজীবী রাকেশ শর্মা আবেদনকারীদের তরফে ডিভিশন বেঞ্চের সামনে কাউন্সেলিং-এর দিনেই পরীক্ষার দিন পড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন। এই কারণেই আবেদনকারীরা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। নিট পিজি ২০২১-এর কাউন্সেলিং-এর সঙ্গে পরীক্ষার দিন পড়ে যাওয়ায় প্রস্তুতির সময় পাওয়া যাবে না।
আইএমএ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যর কাছে চিঠি লিখেছিল যে পরীক্ষাটি পুনরায় নির্ধারণ করার দাবি করেছে। কারণ প্রত্যাশীদের প্রস্তুতির জন্য সময় নেই। এটাও বলা হয়েছিল যে প্রার্থীরা পরীক্ষা নিয়ে বিভ্রান্ত যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করছে। IMA-এর ডাঃ বেদ প্রকাশ বলেছেন যে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস কভার করতে হবে এমন বিষয়ের সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য "একটি যুক্তিসঙ্গত সর্বনিম্ন এক মাস সময়" দেওয়া উচিত। চিকিৎসক যাঁদের নাম নিট পিজি ২০২১-এর নিচের দিকে রয়েছে, তাঁদেরকে আসন পেতে গেলে একেবারে শেষ রাউন্ড পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অন্যদিকে নিট পিজি ২০২২-এর আবেদনের সময়ও শেষ হয়ে গিয়েছে। যদি কাউন্সেলিংয়ের সময় আর বাড়ানো না হত, তাহলে তা ৯ মে শেষ হত। আর পরীক্ষা শুরু ২১ মে। পরীক্ষার্থীরা বলছে যা সময় পাওয়া যাচ্ছে, তা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য খুবই অল্প, যার অর্থ একটি বছর নষ্ট।