লকডাউন এর সময় স্কুলগুলিতে ফি নিয়ে অত্যন্ত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল এবং এবারে সেই নিয়ে একটি বড় নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে করোনা ভাইরাসের কারণে যখন এক বছরের উপর সমস্ত স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে, ক্লাস হচ্ছে সমস্ত অনলাইনে, বিদ্যুৎ, মেইনটেনেন্স, জেনারেটরের ডিজেল, জল, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য যখন কোন রকম টাকা খরচ হচ্ছেই না, তাহলে কেন স্কুলগুলি টাকা নিচ্ছে এই সমস্ত নাম করে। এই সমস্ত ভাবে টাকা নেওয়া তো তাহলে ব্যবসা করার সমান। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুল বন্ধ থাকার কারণে সমস্ত মেইনটেন্যান্স ফি যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আপাতত রাজস্থানের সমস্ত বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
যখন থেকে লকডাউন এর পালা শুরু হয়েছিল ভারতবর্ষে ঠিক তখন থেকেই অভিভাবকদের নানা রকম যুক্তি দেখিয়ে এই সমস্ত স্কুল বহাল তবিয়তে তাদের ফি নিয়ে যাচ্ছিল। কখনো জানানো হচ্ছিল উন্নয়নের জন্য, আবার কখনো জানানো হচ্ছিল ভালো ক্লাস করানোর জন্য এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আদৌ কতটা উন্নয়ন হচ্ছে কিংবা কতটা ভালো করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে সেটা কিন্তু স্কুল এবং কলেজ জানায়নি। তারপরেই রাজস্থান সরকার এই সমস্ত স্কুল কলেজের মাইনে ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়, সেখানেও রাজ্য সরকারের রায় বহাল রাখা হয়। তারপর সুপ্রিমকোর্টে যায় বেসরকারি স্কুলগুলি। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকেও এই একই সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হলো তবে ফি কমানোর পরিমাণ হয়ে গিয়েছে ১৫ শতাংশ। এবার প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ অন্যান্য রাজ্যের স্কুল গুলির উপর কি প্রভাব ফেলবে? নাকি তারা এখনও বহাল তবীয়তে তাদের 'ব্যবসা' চালিয়ে যাবে?