"এক দেশ, এক রেশন কার্ড" (One Nation, One Ration Card) প্রকল্প শুরুর জন্য সময়সীমা বেঁধে দিল দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ আজ জানিয়েছে যে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে যে যে রাজ্যে এখনও "এক দেশ এক রেশন কার্ড" চালু হয়নি, তাদের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে জোর দিতে হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর। এই প্রকল্প শুরু হয়ে গেলে দেশের যেকোনো প্রান্তে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা (Migrant workers) মাসে মাসে রেশন পাবে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা শ্রমিক এবং পরিযায়ী শ্রমিকদেরর নাম যাতে দ্রুত অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে বিষয়েও কেন্দ্রকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট আজকের প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলেছে, এক দেশ, এক রেশন কার্ড এর কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে অনলাইন পোর্টাল চালু করুক কেন্দ্র। তাতে প্রত্যেকে রেজিস্ট্রেশন থাকা চাই। বিশেষ করে অসংগঠিত পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্যগুলি যাতে নির্ভুলভাবে নথিভুক্ত করা হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে কেন্দ্রকে। গোটা কাজ শেষ করতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময়।" তবে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বেশ সমস্যায় ফেলতে পারে বেশ কিছু রাজ্যকে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের মোট ৩৪ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে "এক দেশ, এক রেশন কার্ড" প্রকল্প শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে এই প্রকল্প এখনো চালু হয়নি। কেন্দ্র সরকার অনুযায়ী, "রাজ্যে প্রায় ৯৬ শতাংশ রেশন দোকানে ই পিওএস বা ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল যন্ত্র বসে গিয়েছে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে রেশন কার্ডের আসল মালিক চাল-গম নিতে এসেছেন কিনা তা চিহ্নিত করা যায়। ৮০ শতাংশ দোকানে রেশন কার্ডের সাথে আধার সংযুক্তিকরণ হয়ে গিয়েছে।" তবে পশ্চিমবঙ্গে এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্যে "এক দেশ এক রেশন কার্ড" প্রকল্প চালু হবে। কিন্তু আজ শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এই প্রকল্প চালু করতে রাজ্যের রাতে তিন মাস নয়, মাত্র এক মাস সময় রয়েছে।