করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার গোটা দেশ। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। যাতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে বাকিদের টিকাকরণের কাজ হলেও শিশুদের এখনও টিকাকরণের (Vaccination) কাজ শুরু হয়নি। তাই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে মূল লক্ষ্য শিশুরা। এই পরিস্থিতির আগাম আঁচ করে কেন্দ্র শিশুদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছেন।
কেন্দ্রের দেওয়া নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোভিড আক্রান্ত কোন শিশুর ক্ষেত্রে কোনভাবেই রেমডেসিভির ব্যবহার করা যাবে না। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে রেমডেসিভির ১৮ বছরের নীচে শিশু কিশোরদের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী তা এখনও স্পষ্ট নয়। এমনকী স্টেরয়েড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কড়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের যারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে, ডাক্তারের উপযুক্ত পরামর্শে এবং খুব কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। শিশুদের জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া যেতে পারে অক্সিজেন থেরাপি।
শিশুদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করার আগে ৬ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। ৬ মিনিট হাঁটানোর পর তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। তারপর তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের কম আছে কীনা দেখতে হবে। পাশাপাশি প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা অন্তর এই পরীক্ষা করতে হবে।
মাস্ক পরার ক্ষেত্রেও কেন্দ্র স্পষ্ট গাইডলাইন দিয়েছে। ৫ বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। তবে ৬ থেকে ১১ বছর বয়সীদের মাস্ক পরতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে শরীরে অক্সিজেনের কোন ঘাটতি হচ্ছে কীনা। তবে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকেই বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরার কথা বলা হয়েছে। তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই কেন্দ্রের তরফে এমন নির্দেশিকা জারি হয়েছে বলে সূত্রের খবর।