গোটা দেশজুড়ে করোনা (Corona) ভাইরাস সংক্রমণের জেরে রীতিমতো অতিষ্ঠ দেশবাসী। তার মধ্যেই নয়া আতঙ্ক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) বা মিউকরমাইকোসিস। এই রোগকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকার মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। দেশের অনেক রাজ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীরা এই রোগের কবলে পড়েছেন। তবে এর মাঝেই অভিযোগ উঠছে যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের চিকিৎসায় বিস্তর গাফিলতি দেখাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। প্রথমে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র ওষুধ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ জানানোর পর এবার একই সুরে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। তিনি জানিয়েছেন, "কেন্দ্র এই মারন রোগের চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিক। এই রোগের চিকিৎসা করাতে হবে প্রধানমন্ত্রীর "আয়ুষ্মান ভারত" প্রকল্পের আওতায়।"
সোনিয়া গান্ধী আজ শনিবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের ভয়াবহতা সম্বন্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, "ভারত সরকার সদ্য ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগকে মহামারী ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছে। এর অর্থ এই যে রোগ সারানোর জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধের যথেষ্ট উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন। যাদের দরকার তাদের নিখরচায় এই রোগের চিকিৎসা করতে পারবেন। আমি যতদূর জানি, লিপোসর্নাল অ্যাম্ফোটেরিসিন ই-১ (Liposornal Amphotericin-E1) এই এই রোগের চিকিৎসার জন্য অতি প্রয়োজনীয়। কিন্তু বাজারে এই ওষুধের চরম সংকট তৈরি হয়েছে। এই রোগটির চিকিৎসা ভারত প্রকল্পের অধীনে করা হয় না। উপরন্তু অধিকাংশ বিমা সংস্থা স্বাস্থ্যবীমাতে এই রোগের চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছে না। আমার একান্ত অনুরোধ আপনি এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিন।"
অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টিকাকরন প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য কিছু সাজেশনসহ চিঠি পাঠিয়েছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন যে দেশকে করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচানোর জন্য খুব শীঘ্রই টিকাকরণ প্রক্রিয়াতে দ্রুততা আনতে হবে। একাধিক রাজ্যে কেন্দ্র সরকারের থেকে পাওয়া টিকা শেষ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রের কাছে টিকা চাইলেও তার কোনো সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। দিল্লি প্রতিমাসে ৮০ লাখ টিকা ডোজ চাইলেও, তারা পাচ্ছে মাত্র ১৬ লাখ। এমনকি জুন মাসে তা কমিয়ে ৮ লাখ করে দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, "এই টিকাকরনের কাজে দ্রুততা আনার জন্য ভারতের সমস্ত ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাকে ভারত বায়োটেকের কো ভ্যাক্সিন প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হোক। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি থেকে ভ্যাকসিন কেনা হোক। যে সমস্ত দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়েছে ও তাদের বাড়তি ভ্যাকসিন পড়ে আছে তাদের থেকে ভারত ভ্যাকসিন কেনা শুরু করুক। এছাড়া আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলি ভারতে তাদের ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার অনুমতি পেলে এতটা ভ্যাকসিন সংকট আর হয়তো থাকবে না।"