টানা দশ দিন ধরে ব্যপক দাবানলের প্রকোপে এবার পুড়ে ছাই হয়ে গেল ওড়িশার সিমলিপাল জাতীয় উদ্যানের হাজার হাজার বৃক্ষরাজি। এটি ভারতের বৃহত্তম বায়োস্ফিয়ার ও এশিয়ার বৃহত্তম শালবনও এই উড়িশ্যার ময়ূরভঞ্জের সিমলিপাল। কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্স সূত্রে জানা গেছে এই অগ্নিকাণ্ডে কোনো জনমানুষের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত ৫,২৯১ টি গাছ।
বিগত দশ দিনের এই দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অজস্র ঔষধি গাছ। ২১ টির মধ্যে ৮ টি রেঞ্জ নষ্ট হয়েছে এবং একটি আদিবাসী বসতিকে স্থানান্তরিত করতে হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর টুইটে জানিয়েছেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে এবং কোনো প্রাণীর প্রাণহানি ঘটেনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র প্রায় ২,৭৫০ বর্গ কিলোমিটার স্থান জুড়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে তিনশোর বেশি প্রজাতির পাখি, প্রায় ৯৪ প্রকারের অর্কিড, ১৬৪ রকমের প্রজাপতি, ষাট প্রকারের সরীসৃপ ও নানা প্রজাতির মাছের ব্যপক সম্ভার। প্রথমে অল্প জায়গায় আগুন লাগলেও শুকনো কাঠের আধিক্যের জন্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ঘটনাস্থলে যান ও পরিদর্শন করেন। "দেশ তথা বিশ্বের জন্য এই অমূল্য সম্পদ সিমলিপাল"-কে রক্ষা করতে আরও তৎপর হতে আদেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও জশিপুর পঞ্চায়েত প্রধান এই আগুনের জন্য প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন।