রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে ঐতিহাসিক নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের কাছে একপ্রকার বড়সড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, যতদিন না রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের পর্যালোচনা ও পুনর্বিবেচনা করছে কেন্দ্র, ততদিন পর্যন্ত এই আইনের আওতায় কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। অর্থাৎ আইনের প্রয়োগ পুরোপুরি স্থগিত রাখতে হবে। প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং হিমা কোহলির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আরও নির্দেশ দিয়েছেন, "যারা ইতিমধ্যে এই আইনের মামলায় জেলে আছেন, তাঁরা জামিনের আবেদন করতে পারবেন"।
গত মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অধীনে নথিভুক্ত পড়ে থাকা মামলা এবং ভবিষ্যতের মামলাগুলির বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত চেয়েছিল। জানতে চাওয়া হয়েছিল, যত দিন রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের পুনর্বিবেচনা চলছে, তত দিন কি এই আইনের আওতায় রুজু হওয়া মামলা স্থগিত রাখা যায়? এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্যগুলোকে এই আইন প্রয়োগ করে কোনও পদক্ষেপ না করার কথা বলতে পারে? এর প্রত্যুত্তরে বুধবার কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয় যে পুলিশ সুপার বা তার উঁচু পদমর্যাদার আধিকারিকরাই কেবল রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে পারবেন, এমন নির্দেশনামা তাঁরা রাজ্যগুলিকে পাঠাবে।
আর এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের সাফ বয়ান, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের পুনর্বিবেচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের প্রয়োগ। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, এই আইনের আওতায় থাকা সমস্ত মামলা স্থগিত থাকবে। নতুন করে কাউকে এই আইনের অধীনে গ্রেপ্তার করা যাবে না এবং যারা ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়ে রয়েছে তারা বিচারের আশায় কিংবা জামিনের জন্য আদলতের দ্বারস্থ হতে পারবেন।