সাক্ষীকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে এবারে বিতর্কের মুখে পড়লেন মুম্বাই এনসিবি জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। মুম্বাই পুলিশের কাছে একটি চিঠি লিখে, তিনি জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং তিনি এই ঘুষ দেওয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়। মুম্বাই পুলিশের কাছে নিজের সুরক্ষার দাবি জানিয়ে সমির লিখেছেন, "কোন অজানা ব্যক্তির দ্বারা আমার বিরুদ্ধে যেন কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়। কোন অজানা ব্যক্তি যেন আমার বিরুদ্ধে কোনো রকম মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজকেই এই মুম্বাই ড্রাগ মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী প্রভাকর জানিয়েছেন, এই ড্রাগ মামলায় সমির ওয়াংখেড়ে আরিয়ান খান কে মুক্তি দেওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকা দাবি করেছেন। চাঞ্চল্যজনক এই দাবির পরেই চাপে পড়ে যান সমীর ওয়াংখেড়ে।
এই চিঠিতে সমির ওয়াংখেড়ে লিখেছেন, "আমাকে এই মামলায় মিথ্যাভাবে ফাঁসানোর জন্য বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দ্বারা বেশ কিছু আইনি কাজকর্ম করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। আমি যেখানে জড়িত নই, সেই মামলায় আমাকে মিথ্যা ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে কেউ বা কারা। বেশ উচ্চপদস্থ কয়েকজন ব্যক্তি আমাকে জেল এবং পদত্যাগের পর্যন্ত হুমকি দিয়েছে। এমনকি পাবলিক মিডিয়াতেও আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অভিযোগ করা হচ্ছে।"
এই ঘটনায় এনসিবি পর্যন্ত একটি বিবৃতি দায়ের করেছে। এনসিবির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, "যেহেতু এই মামলাটি বর্তমানে আদালত এবং বিচার ব্যবস্থার অধীনে পৌঁছে গিয়েছে, তাই যদি ওই সাক্ষী অর্থাৎ প্রভাকরের কিছু বলার থাকে তাহলে আদালতের সামনে তাকে নিজের জবানবন্দি দিতে হবে। আমাদের অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত রকম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাই যদি ওই সাক্ষীর যদি কিছু বলার থাকে তাহলে তাকে নিজের কথা আদালতের সামনে পেশ করতে হবে।" অন্যদিকে এই মামলায় যুক্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্র সরকারের একজন মন্ত্রী নবাব মালিক জানিয়েছেন, তিনি নিজে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং মহারাষ্ট্রের গৃহ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।