পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস অবস্থা আমজনতার। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে হু হু করে। পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি দাম বেড়েছে শাক-সব্জি-সহ অন্যান্য দ্রব্যের। আর ভোজ্য তেলের (Edible Oil) দাম তো আকাশছোঁয়া। তবে এবার মধ্যবিত্তদের একটু স্বস্তি দিতে ভোজ্য তেলের দাম কমাতে উদ্যোগ নিল ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি।
উল্লেখ্য, আমজনতার মুখে একটু হাসি ফোটাতে আগেই সরকারের তরফে ভোজ্য তেলের দাম কমানোর কথা বলা হয়েছিল। যার জেরে উৎসবের মরসুমে পাম তেলের দাম কেজি প্রতি ১৬৯.৬ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩২.৯৮ টাকা করা হয়েছিল। এমনকী সয়া তেলের দামও কমানো হয়েছিল। এবার সরকারের পদক্ষেপের পর তেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোও ভোজ্য তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোজ্য তেলের দাম ৩ থেকে ৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থা এসইএ।
সরকারের সিদ্ধান্তের পর পাম তেল বা সয়া তেলের দাম কমলেও সর্ষের তেল, বাদাম তেল কিংবা সূর্যমুখী তেলের দাম কমেনি। তবে তেল প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে এই সিদ্ধান্তের পর সব তেলেরই দাম কমতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। কেজি প্রতি সব তেলের দাম অন্তত ৩ থেকে ৫ টাকা কমছে। এমনিতেই বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের ঊধ্বমুখী দাম থাকার ফলে সরাসরি দেশেও এর প্রভাব পড়েছে। কোভিড পরিস্থিতির সময় তরতর করে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। আমজনতার ত্রাহি ত্রাহি রব। তবে তেল সংস্থাগুলির এই দাম কমানোর ফলে কিছুটা ভোজ্য তেলের দাম কমতে পারে বলে ধারণা করছেন ওয়াকিবহাল মহল।