এমনিতেই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা নিয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। এবারে তার মধ্যেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর আপ্তসহায়ক পিপি মাধবনের বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। শনিবার দিল্লির উত্তম নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়। যদিও, এখনো পর্যন্ত এই মামলার সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, সোনিয়া গান্ধীর আপ্তসহায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ২৬ বছর বয়সে একজন দলিত মহিলা। ওই মহিলা দাবি করেছেন, ২০২০ সালে কংগ্রেস দফতরে কাজ করতেন তিনি। ২০২০ সালে তার স্বামীর মৃত্যু হয়। তারপর চাকরি এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এছাড়াও তার আরও অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আনলে পরিনাম ভালো হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয় তাকে।
দ্বারকার ডেপুটি কমিশনার এম হর্ষবর্ধন বলেছেন, "ধর্ষণ এবং অপরাধমূলক প্রবৃত্তির একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে উত্তম নগর থানায়। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।" যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তার নাম এবং তার পরিচয় দিতে গিয়ে কোন রাজনৈতিক নেতা কিংবা নেত্রীর নাম গ্রহণ করেননি ডেপুটি কমিশনার। দিল্লির পুলিশ সূত্রে সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছে, ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সোনিয়ার ৭১ বছর বয়সী আপ্তসহায়ক মাধবনের বিরুদ্ধে।
যদিও তিনি এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বলে মন্তব্য করেছেন। তার ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন মাধবন।