মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবাদে রবিবার বিকালে রাজস্থানে জাতীয় স্তরের সমাবেশ আয়োজন করল জাতীয় কংগ্রেস। এই সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট জয়পুর বিমান বন্দরে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং দলের নেতা রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানালেন। তারপর বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে হিন্দু এবং হিন্দুত্ববাদ নিয়ে আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন রাহুল গান্ধী। বিজেপিকে খোঁচা দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী আজ বললেন, আজ বিশ্বজুড়ে রাজনীতিতে যখন দুই বিশ্বের মধ্যে চরম প্রতিযোগিতা চলছে তখন ভারত শুধুমাত্র হিন্দুত্ব এবং হিন্দুত্ববাদী বিষয় নিয়ে লড়াই করে চলেছে।
বিজেপিকে খোঁচা দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বললেন, "হিন্দুত্ব এবং হিন্দুত্ববাদী এই দুটি শব্দের দুটি পৃথক অর্থ রয়েছে। আমি নিজে হিন্দু কিন্তু আমি হিন্দুত্ববাদী নই। মহাত্মা গান্ধী হিন্দু ছিলেন, কিন্তু গডসে ছিলেন হিন্দুত্ববাদী। গান্ধীজী তার সারা জীবন সত্যের সন্ধান এবং সত্যকে বোঝার জন্য কাটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু শেষে একজন হিন্দুত্ববাদী নাথুরাম গডসে তাকে বুকে গুলি করে হত্যা করলেন। হিন্দুত্ববাদীরা তাদের সারা জীবন শুধুমাত্র ক্ষমতা এবং ক্ষমতা করে কাটিয়ে দেয়। ক্ষমতা ছাড়া তারা আর কিছু বুঝতে চায় না। তারা সব কিছুতে ক্ষমতা বুঝতে চায়, এবং তার জন্য হিন্দুত্ববাদীরা অনেক নিচ অবধি যেতে পারে। তারা সত্যাগ্রহ নয় বরং সত্তাগ্রহ করতে বেশি পছন্দ করে।"
বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে রাহুল গান্ধী আজকে আরো বললেন, "হিন্দুত্ব বাদীরা ২০১৪ থেকে ভারতের ক্ষমতায় রয়েছে। হিন্দুত্ববাদীদের ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলা উচিত এবং আবার হিন্দুদের ফিরিয়ে আনা উচিত।" তার সাথে সাথেই আজকে রাহুল গান্ধীর ছাড়াও বিজেপির বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বললেন, 'প্রত্যেকদিন যেভাবে এলপিজি সিলিন্ডার এবং পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, তাদের দুদিন পর দেখা যাবে ভারতের মানুষ অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবে। এতে না খেতে পেয়ে মারা পড়বেন দেশের অগণিত মানুষ। সরষের তেলের দাম বর্তমানে ২০০ টাকা করে। সাধারণ মানুষ যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এটা কেউ শুনতে চাইছে না। সাধারণ মানুষের কথা ভাবলে এই দিনটা দেখতে হতো না। শুধুমাত্র মিথ্যাচারণ করে কয়জন শিল্পপতির জন্য কাজ করছে এই হিন্দুত্ববাদী দল। তার বদলে যদি মানুষের জন্য কাজ করা হতো তাহলে অন্তত মানুষের এত খারাপ অবস্থা হতো না।"