একদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিদায় কাল আসন্ন। তবে তার আগেই, যে অভ্যন্তরীণ নথি প্রকাশ্যে এসেছে, তা দেখে কূটনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। জানা গিয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে ভারতকে কীভাবে সঙ্গী হিসেবে রাখা যাবে সেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে এমন একটি কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে যেখানে চিন বিরোধী সম-মনস্ক দেশগুলিকে নিয়েই কাজ করা হবে। বলাবাহুল্য, ভারত সেখানে ‘শক্তিশালী'।
কী এই নথি? এমন কী বা লেখা আছে এতে? ২০১৮ সালে ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য যে নীতি তৈরী করেছিল আমেরিকা, সেটির গুরুত্বপূর্ণ ছিল এটি। এতদিন তা গোপন থাকলেও এবার সেই নীতি প্রকাশ্যে নিয়ে এল বিদায়ী মার্কিন প্রশাসন।
জানা যাচ্ছে, দশ পাতার এই নথিতে লেখা আছে, চিন আমেরিকার প্রধান বিরোধী। কাজেই, তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইন ভাঙতে পারে নিজেদের স্বার্থে। নিজেদের প্রযুক্তিগত শক্তির সাহায্য নিয়ে চিন বিভিন্ন স্বাধীন সমাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলেও মনে করে আমেরিকা। ভারত ও সম-মনোভাবাপন্ন দেশগুলি কিছুটা হলেও চিনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সামরিক, কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা তথ্য শেয়ারের ক্ষেত্রে ভারতকে যথাসাধ্য সাহায্য করার কথা নথিতে লেখা আছে। যাতে অন্যতম সামরিক পার্টনার হয়ে ওঠে ভারত। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা থেকে ব্রহ্মপুত্রের জল পাওয়া নিয়ে সমস্যায় আমেরিকা ভারতকে সাহায্য করতে চায় বলে লেখা আছে নথিতে।
প্রসঙ্গত, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) ঘোষণা মতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রধান অংশীদার দেশ হল- ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। বাংলাদেশ সহ অন্য দেশগুলোও অর্থনৈতিক সৃমদ্ধির পথ হিসেবে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিকে গ্রহণ করেছে।