অনেক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল শেষ কয়েক দিন ধরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই করণা আবহে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা ভাষণে কি বলেন সেই নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। লালকেল্লা থেকে বরাবরের মতো নতুনের স্বপ্ন দেখলেন মোদী। ঘোষিত হলো অনেক প্রকল্প, সামনে এলো অনেক ভাবনা। প্রায় ১ ঘন্টা ৪০ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বললেন, করোনা কখনই ভারতের আত্মনির্ভরতার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে না।
এছাড়া তিনি আরো বললেন
-
এই সরকার বরাবরই নারীদের কথা ভাবার চেষ্টা করেছে। উইমেন এম্পাওয়ার্মেন্ট বিষয়ে নজির তৈরীর স্বার্থে লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী কে পতাকা উত্তোলন সহায়তা করলেন এক মহিলা অফিসার। আর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন এইবার থেকে মহিলাদের বিবাহের নূন্যতম বয়স নির্ধারণের একটি কমিটি তৈরি হবে এবং যারা ভীষণভাবে সক্রিয়তার সাথে কাজ করবে।
-
কয়েকদিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল এক দেশ এক রেশন কার্ড এরপরে এক দেশ এক হেলথ কার্ড প্রকল্প আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী বললেন দেশের মানুষের যাতে দেশের যেকোন প্রান্তে চিকিৎসায় অসুবিধা না হয় সেই জন্য এক দেশ এক হেলথ কার্ড প্রকল্প। যে কার্ডে ব্যক্তির শারীরিক যাবতীয় সমস্যা ইতিহাস লেখা থাকবে। এবং আধার কার্ডের মতই যেকোনো জায়গায় বিশেষত স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এই কার্ডের ইউনিক নাম্বার দিয়ে রোগীর বিষয়ে জানায় স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক সুবিধা পাবেন।
-
মোদী জোর গলায় বললেন, দেশের চাষীরা আত্মনির্ভর হলে দেশ খুব সহজেই আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাবে। তাই চাষীদের জন্য বাড়তি ভাবনায় ব্যস্ত হবে সরকার।
-
মেড ইন ইন্ডিয়া বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, আমরা যদি আমদানির দিকে রাশ টানতে পারি। আমাদের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে দেখতে চাই আমরা নিজের দেশে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস কতটা তৈরি করতে সক্ষম তাহলে দেশ যেমন আত্মনির্ভর হবে তেমনি আর্থিকভাবে দেশের উন্নতি ঘটবে। আর তার জন্য দেশের সব মানুষকে "ভোকাল ফর লোকাল" এই মন্ত্রে নিজেদের বেঁধে নিতে হবে।
- ভারত যে বিদেশি শক্তির আক্রমনকে ভয় পায় না এবং কড়া হাতে তার মোকাবিলা করে সেই কোথাও স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অতিসম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে একসঙ্গে এক সরলরেখায় টেনে তিনি বললেন দেশ কিভাবে মোকাবিলা করে বিদেশি অতর্কিত আক্রমণের।
এছাড়াও দেশকে কিভাবে আর্থিকভাবে আরও শক্তিশালী এবং আরো সুঠাম করে তোলা যায় সেই বিষয়ে বিস্তর কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন আমাদের কাছে লাখ লাখ সমস্যা থাকলে তার কোটি কোটি সমাধান থাকতেও বাধ্য। তাই আমাদের লক্ষ্যে স্থির থেকে আমাদের কাজে নিয়োজিত থাকাই মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।