নতুন কৃষি আইন কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়। এটি একটি ঐচ্ছিক আইন। সংসদে দাঁড়িয়ে দিন এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বললেন, কৃষকদের যেখানে ইচ্ছা সেখানে তারা ফসল বিক্রি করতে পারেন। পাশাপাশি যদি নতুন আইনে কোনো খামতি থাকে তাহলে তা বদল করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দিলেন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ নিয়ে এদিন লোকসভায় বিতর্ক হচ্ছিল। সেই সময় তিনি কৃষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে নিজের মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "ওই আইনের মাধ্যমে কৃষকদের সামনে কেবলমাত্র একটি বিকল্প ব্যবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। এই আইন ঐচ্ছিক বাধ্যতামূলক নয়। যদি কৃষকরা না চান তাহলে তারা যেখানে খুশি ফসল বিক্রির সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। কৃষি ক্ষেত্রে নতুন ব্যবস্থার বদলে কৃষকেরা যদি পুরনো ব্যবস্থায় মুনাফা বেশি পান তাহলে তারা সেটা ব্যবহার করতে পারেন।" পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী বলছেন, "এই আইনে কোনো রকম ঘাটতি থাকলে তা বদলে ফেলা হবে।"
উল্লেখ্য, এই তিনটি কৃষি আইনের বিরোধিতা করে দিল্লি হরিয়ানা সীমান্তে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকেরা আন্দোলন চালাচ্ছেন। তাদের আন্দোলনে বিরোধীরা অতিরিক্ত অক্সিজেন যোগাচ্ছে। মোদি দাবি করেছেন, "কৃষিক্ষেত্রে সংস্কার জরুরী ছিল। কৃষি আইন হলেও পুরনো কিষাণ মান্ডি বন্ধ করা হয়নি। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বন্ধ হয়নি। এই আইনগুলি জারি করার পর ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে আপনারা কেনাবেচা করতে পারেন।" পাশাপাশি কৃষকদের আন্দোলনের পিছনে বিরোধীদের হাত আছে বলে তিনি অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কৃষি আইনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "কৃষি ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে আসার জন্য এবং সংস্কারের জন্য আমরা সৎ ভাবে প্রচেষ্টা করেছি। এ নিয়ে কৃষকদের আশঙ্কা বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। কৃষকদের আবেগের মর্যাদা দিয়ে কৃষি আইন নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তবে পবিত্র আন্দোলনকে অপবিত্র করেছেন আন্দোলনজীবিরা। পাঞ্জাবের টেলিফোন টাওয়ারে বা টোলপ্লাজা তে যে সমস্ত ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে তা ওই আন্দোলনজীবীদের কাজ।"